এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর......

দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নির্দেশেই গ্রেফতার হন জাকির খান!

582
দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নির্দেশেই গ্রেফতার হন তিনি!

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে গ্রেফতার করার পরদিন রাজধানীর ভাটারা থানায় সোপর্দ করেছে র‌্যাব। পরে ভাটারা থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র মামলায় তিনদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারের সময় জাকির খানের কাছ থেকে ম্যাগজিন সহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র মতে, জাকির খানের বিরুদ্ধে আরো বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। যদিও তার সমর্থকদের দাবি, রাজনৈতিক চরিতার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আসামী করা হতে পারে তাকে।

এরই মাঝে জাকির খানের মুক্তি চেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার মুক্তি দাবি করেছে। বিএনপির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের সাথে কথা বলেই জাকির খান র‌্যাবের হাতে ধরা দিয়েছেন।

কারণ হিসাবে তারা উল্লেখ করেন, বিএনপি মনে করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন একটি টানির্ং পয়েন্ট বিরাজ করছে। সরকারের প্রতি দেশের সাধারন মানুষ বিক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রার ব্যয় মিটাতে হিমসিম খাচ্ছে মানুষ। তাই সরকার এই মুহুর্তে খুব একটা হার্ডলাইনে যেতে পারবে না বলে ধারনা তাদের। ফলে দেশে এখন ক্রসফায়ার বা গুমের ঘটনা বন্ধ থাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেই র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন জাকির খান।

জানা গেছে, টানা দেড় যুগ পলাতক থাকার পর গত ২রা সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। একটি বিদেশী পিস্তল সহ রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।  তবে জাকির খানের পারিবারিক সূত্রের দাবি, জাকির খানের কাছ থেকে যে পিস্তলটি উদ্ধার করার কথা বলা হচ্ছে এটি তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়নি। বিষয়টি গতকাল আদালতেও তুলে ধরা হয়েছে। তাই আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে এখনো জনপ্রিয় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার গ্রেফতারের রিপোর্ট প্রকাশ হলে সারা নারায়ণগঞ্জে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় জাকির খানের গ্রেফতার হওয়ার খবর।

ফেসবুকে কিছু মানুষ তাকে সন্ত্রাসী হিসাবে আখ্যায়িত করলেও অধিকাংশ লোক তাকে একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আখ্যায়িত করে তার মুক্তি দাবী করেন। তার মুক্তি চেয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দেন অনেক সাধারন মানুষও। এ সময়ে এসে তার গ্রেফতারের খবরটি টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়।