আলেম-ওলামাদের মুক্তি দেয়াসহ ৩ দাবি না মানলে...

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের হুশিয়ারী হেফাজতে ইসলামের

54

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

আল্লামা মামুনুল হক, মনির হোসেন কাসেমী, রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ কারাবন্দী সকল আলেম-ওলামাদের মুক্তি না দিলে, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার করা না হলে এবং কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা না করলে লক্ষ লক্ষ তৌহিদী জনতা নিয়ে সাইনবোর্ডে মহাসড়ক অবরোধের হুশিয়ারী দেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর, মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

এই ৩ দফা দাবি আদায়ে গতকাল শুক্রবার পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুশিয়ারী দেন। বাদ জুম্মা ডিআইটি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ জেলা উলামা পরিষদের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুল আউয়াল বলেন, দুনিয়ার জমিনে নবীদের পরে আলেম-ওলামারাই আল্লাহ তায়ালাকে বেশী ভয় পায় এবং তার ইবাদত করে। তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালাও আলেম-ওলামাদের ভালোবাসেন। কেননা যারা আল্লাহ তায়ালাকে বেশী ভয় পায় এবং তার ঈবাদত করে তিনি তাদেরকেই তো বেশী ভালোবাসবেন। সেই আলেম-ওলামাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্দী রেখেছে বর্তমান সরকার। আল্লাহ তায়ালার কাছে বলি, হয় এই সরকারকে সঠিক বুঝ দান করেন, তা নাহলে তাদের মসনদ ভেঙ্গে দিন। তাদেরকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করুন।

তিনি বলেন, আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসতে হলে আলেম-ওলামাদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। আলেম-ওলামাদের ছাড়া ক্ষমতায় যেতে পারবেন না। তাই অনতিবিলম্বে সকল কারাবন্দী আলেম-ওলামাদের মুক্তি দেন এবং তাদের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করেন। কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করেন, এটা নতুন দাবি নয় এটা বেশ পুরোনো দাবি। অন্যথায় লাখো লাখো তৌহিদী জনতা নিয়ে আমরা সাইনবোর্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে বসে থাকবো।

বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতির বক্তব্যে উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, সরকার প্রধান আপনি যদি ভেবে থাকেন রাম-বামরা আপনাকে ক্ষমতায় রাখবে তাহলে আপনি ভুল করছেন। তৌহিদী জনতা রাস্তায় নেমে এলে পালানোর পথ পাবেন না। আপনারা আমাদের কথা মেনে নিন, আপনাদের পালাতে হবে না। আর যদি কথা না মানেন তাহলে কোথাও পালানোর জায়গা পাবেন না। আল্লামা মামুনুল হক সহ আলেমদের দ্রুত মুক্তি দিন।

মামুনুল হকের আইনজীবী এড. ওমর ফারুক নয়ন বলেন, বর্তমান সরকারের কাজই হচ্ছে মিথ্যা মামলা দিয়ে আলেম-ওলামাদের কারাবন্দী করে রাখা। বিনা কারণে, নাটক সাজিয়ে আল্লামা মামুনুল হককে আটকে রাখা হয়েছে।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবদুল কাদির, মুফতি হারুনুর রশিদ, মাহমুদ কাসেমী, কামাল উদ্দিন দায়েমী, মাওলানা মনোয়ার হোসেন, মুফতি শিব্বির আহমেদ, মুফতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।