ডাকবাংলা দশ ফিট সরিয়ে নেয়ায় আনোয়ার হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা

125
ডাকবাংলো ১০ ফুট সরিয়ে নেয়ায় আনোয়ার হোসেনকে অভিনন্দন

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

অবশেষে চাষাঢ়া এলাকায় লাখো মানুষের দূর্ভোগ সৃষ্টিকারী ডাকবাংলাটির অংশ বিশেষ সরিয়ে নেয়া হলো। রাস্তা থেকে দশ ফিট সরিয়ে নেয়ায় রাস্তাটি দশ ফিট প্রশস্ত করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক এবার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেন এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার একদিন পরেই তিনি ডাকবাংলার দেয়া ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেন।

এরই মাঝে দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এবং রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। আনোয়ার হোসেন এভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এবং ফতুল্লার মানুষ ইতিবাঁচক প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন। বিগত তিনদিন ধরে কাজ শুরু করার পর এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারী বহু মানুষ দাড়িয়ে এই সরিয়ে নেয়ার কাজ দেখেছেন।

তাদের মাঝে ফতুল্লার গাবতলী এলাকার বাসিন্দা ও গাবতলী সোসাইটির সাধারন সম্পাদক কাজী এনামুল ফেরদৌস মনা বলেন, অনেক দিন ধরেই আমরা চাষাঢ়া পঞ্চবটি সড়কের এই স্থান থেকে ডাক বাংলাটি সরিয়ে নিয়ে রাস্তা প্রশস্ত করার দাবি জানিয়ে আসছি। অতপর দেরীতে হলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ডাকবাংলাটি দশ ফিট ভেতরে সরিয়ে নিতে রাজী হয়েছেন এবং এরই মাঝে কাজ শুরু করেছেন। তাই আমরা আনন্দিত।

কারন দশ ফিটও যদি প্রশস্ত করা হয় সড়কটিকে, তাহলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার সাধারণা মানুষ যানজট থেকে মুক্তি পাবে। তাই আমরা আনোয়ার হোসেনকে বিশেষ ভাবে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে আমরা পাশাপাশি আশা করছি এই সড়কটি অবিলম্বে অন্তত চার লেন করা হোক। আর এই ক্ষেত্রে সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে কথা হয় ডাকবাংলার পাশে দাড়িয়ে থাকা মহিউদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, তার বাড়ি ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায়। তিনি শহরের অগ্রনী ব্যাংকে চাকুরী করেন। তাই সপ্তাহে পাঁচ দিনই তাকে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এমন কোনো দিন নেই যে তাকে এই রাস্তায় যানজটে আটকা থাকতে হয় না। কোনো কোনো দিনতো ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়। বিশেষ করে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠে।

তাই আমি মনে করি আরো অনেক আগেই এই রাস্তা থেকে ডাকবাংলাটি এবং পুলিশ ফাঁড়িটি সরিয়ে নেয়া উচিৎ ছিলো। তারপরেও পত্রিকায় দেখলাম জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন সাহেব এবার তার প্রশাসনের প্রথম বৈঠকেই তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহন করেছেন। এতে এই রাস্তায় অনেকটাই যানজট লাঘব হবে বলে আমরা মনে করি। তাই আনোয়ার হোসেনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এটি একটি খুব ভালো কাজ হচ্ছে বলে আমি মনে করি।