টার্গেট বিএনপির সাবেক দুই এমপি

527
টার্গেট বিএনপির সাবেক দুই এমপি

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও শুরু হয়েছে আওয়ামীলীগ-বিএনপির রাজনৈতিক নানা কর্মকান্ড। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে এবার টার্গেট করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি এড. আবুল কালামকে।

ব্যক্তিগতভাবে ও মনোবলের দিক দিয়ে দুর্বল করার লক্ষ্যে তাদের সন্তানদের নিয়ে নোংরা রাজনীতির শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জে এমনটাই দাবি বিএনপি নেতাকর্মীদের। তাদের মতে, অহেতুক মামলায় জড়ানো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আলহাজ¦ এডভোকেট আবুল কালামের ছেলে কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছোট ছেলে রিফাতকে।

জানা যায়, বন্দরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ডোবাতে ডুব দেয় নিলয় আহম্মেদ বাবু নামে এক যুবক। পরবর্তীতে ৪দিন পর তার লাশ পাওয়া যায় সেই ডোবাতেই। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য ক্লোজড করেছে জেলা পুলিশ। তবে, হঠাৎ করেই বাবু নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে আবুল কাউসার আশাকে আসামী করে তাকে চরম ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে।

অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছোট ছেলে রিফাতকে জরিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ করা হয়। এতে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।

মূলত এভাবেই এখন বিএনপি দলীয় সাবেক দুই এমপিকে এবং তাদের পূত্রদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। ফলে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহল মনে করে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিকল্পিত ভাবে তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

তাদের মতে, বিএনপি দলীয় এ দুই সাবেক এমপি যার যার এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়। ফলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশ নেয় তাহলে গিয়াস-কালামকে পরাজীত করা খুব একটা সহজ হবে না বলে দাবী তাদের। এসকল কারণে এ দুই পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা দিয়ে ঘায়েল করে ব্যস্ত রাখার জন্যই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি তাদের ঘনিষ্ঠ সুত্রের।

জানা গেছে, কালাম পুত্র কাউন্সিলর আশাকে যে মামলাটি দেয়া হয়েছে এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে আশা মোটেও জড়িত নন। বরং পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে পুকুরে ঝাপ দেয় বাবু। সেখানে থেকে উঠতে না পারায় মৃত্যু ঘটে তার। অথচ এ ঘটনায় আশাকে প্রধান আসামী করে মামলা করা হলো, যা অনেকটা উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর মতো ঘটনার সৃষ্টি করেছে।

অপরদিকে, মামুন মাহমুদকে হত্যা করতে যে চার যুবক হামলা চালায় তাদেরকে ভাড়া করেছিলো একজন ছাত্রদল নেতা যিনি নাকি পরে গ্রেফতার হয়েছেন। আর এই ছাত্রদল নেতার পেছনে রয়েছেন ফতুল্লা এবং সিদ্ধিরগঞ্জের দুই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা। অথচ এদিকেও উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাঁড়ে চাঁপাতে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের নীরিহ পুত্রকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে।