কাজী মনির ও শাহআলমের অনুসারীরা বৈষম্যের শিকার হবেন নাতো?...

জেলা ব্যাপী দলকে ঐক্যবদ্ধ করাই গিয়াস-খোকনের বড় চ্যালেঞ্জ

120
জেলা ব্যাপী দলকে ঐক্যবদ্ধ করাই গিয়াস-খোকনের বড় চ্যালেঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন। কারন বিগত বছরগুলিতে দল পূণর্গঠনের জন্য এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার, কাজী মনিরুজ্জামান এবং অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে দায়িত্ব দেয়া হলেও তারা এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।

জেলায় তারা বিএনপিকে মোটেও শক্তিশালী করতে পারেননি। বরং তারা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দেওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে জেলাব্যাপী সাংগঠনিক ভাবে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি। তাই এবার বড় আশা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে ও গোলাম ফারুক খোকনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই এই দায়িত্ব পালনে তারা কতোখানি সফল হন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

কেননা নারায়ণগঞ্জ জেলায় মোট পাঁচটি সংসদীয় আসন রয়েছে। আর এসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন অন্তত পনেরো জন। তাই মাঠ পর্যায়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে বিভক্তি রয়েছে। মূলত এই বিভক্তির কারনেই নারায়ণগঞ্জ জেলায় শক্তিশালী হতে পারছে না বিএনপি।

তাই নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেন, জেলা বিএনপির নয়া আহবায়ক মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং সদস্য সচিব গোলাম ফারুকের উচিৎ সবাইকে নিয়ে দল গঠন করা। কে কার লোক এটা না দেখে যারা বিএনপি করেন তাদের সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসা। সম্ভব হলে ভোটাভোটির মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে একেবারে জেলা পর্যন্ত নেতা নির্বাচিত করা।

অনেকের মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ভেতরে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার দিক থেকে গিয়াস উদ্দিনের কোনো তুলনা হয় না। তিনি খুবই শক্তিশালী একজন রাজনীতিবিদ। তাই তিনি যদি এই জেলায় বিএনপিকে পূণর্গঠনে ব্যর্থ হন তাহলে আর কেউ এই দলকে শক্তিশালী করতে পারবে না। তাই সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এখন কি করেন সেদিকেই রয়েছে সকলের নজর। যদিও এরই মাঝে সবাকে নিয়ে দল গঠন করার ঘোষনা দিয়েছেন বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন।

এদিকে, গিয়াস উদ্দিন দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের দলত্যাগী নেতা শাহআলমের অনুসারীদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। তারা এখন মনে করছেন, এতোদিন গিয়াস উদ্দিনের অনুসারীদের মাইনাস করে রাখার কারনে এখন আবার প্রতিশোধ নেবেন গিয়াসপন্থীরা। তারা এবার শাহআলম অনুসারীদের মাইনাস করবেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহল মনে করেন এটা করা মোটেও সঠিক হবে না।

অপরদিকে, একই রকম পরিস্থিতি বিরাজ করছে রূপগঞ্জ থানা এলাকায়ও। এবার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব করা হয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দীপুর অনুসারী গোলাম ফারুক খোকনকে। তাই সেখানেও বৈষম্যের শিকার হতে পারেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরের অনুসারীরা। কিন্তু সেখানেও এই ধরনের কিছু করা হলে দূর্বল থেকে যাবে বিএনপি। তাই এই মুহুর্তে সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলেই মনে করেন এই জেলার রাজনৈতিক সচেতন মহল। তাই এবার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি কি করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।