আনোয়ার-হাইসহ প্রার্থী অন্তত পাঁচ...

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে নানা গুঞ্জন

224
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে নানা গুঞ্জন

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর এবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। এ পদের মনোনয়ন নিয়ে লড়াই চলছে আওয়ামীলীগের অন্তত ৬ নেতাকর্মীর মধ্যে এমনটাই দাবী আওয়ামী নেতৃবৃন্দদের। বর্তমান সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিপরীতে সাবেক প্রশাসক আব্দুল হাই এবং শামীম ওসমানের তিন বন্ধু বাদল, চন্দন শীল এবং খোকন সাহাও মনোনয়ন প্রত্যাশী।

তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতে, বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় রাজনীতিবীদ, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, টানা তিনবার নির্বাচিত নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে সখ্যতা থাকার কারণে এবং ব্যক্তিগতভাবে ক্লিন ইমেজের অধিকারী হওয়ায় পুনরায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনই।

তবে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই এমন দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের। তাদের মতে, এ পদে সাবেক প্রশাসক ও বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইও একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি হতে পারে। তাছাড়া চেয়ারম্যান হতে জোর তদবির ও লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন অন্তত আরও তিন প্রার্থী। এরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দনশীল। এরা তিনজনই আবার সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সব মিলিয়ে আপাতত এবার আওয়ামী লীগ থেকে এই পাঁচজন প্রার্থীই মনোনয়ন চাইবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেনের পক্ষ্যে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। কারণ গত সিটি নির্বাচনে আইভীর পাশে ছিলেন আনোয়ার হোসেন। বর্তমানেও তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক বিরাজমান। তাছাড়া আইভীর মতো ক্লিন ইমেজ রয়েছে আনোয়ার হোসেনেরও। পাশাপাশি দুজনেই দেওভোগের সন্তান এবং একে অপরকে কাকা-ভাতিজি বলেই সম্বোধন করে থাকেন। এসকল কারণ ছাড়াও আরো অনেক দিক থেকেই আইভীর সাথে আনোয়ার হোসেনের ভালো সম্পর্ক বিরাজমান। ফলে আনোয়ারকেই পুনরায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান আইভী, দাবী তার ঘনিষ্ঠজনদের।

বিপরীতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রশাসক আবদুল হাইয়ের রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। ছাত্রজীবনে ছিলেন ডাক সাইটের নেতা, ১৯৬৪ তে ছিলেন শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ৬৭’তে বৃহত্তর ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। বর্তমান সময়ের অনেক বাঘা বাঘা নেতাদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে করেছেন রাজনীতি। মহান স্বাধীণতা যুদ্ধে অংশ নেয়া বীর এ মুক্তিযোদ্ধা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সানিধ্যে দীর্ঘ সময় পার করেছেন তিনি। পরবর্তীতে যুবলীগ হয়ে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে আছেন এ নেতা। তাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও তিনি একজন শক্ত দাবিদার বলে প্রবীণ রাজনীতিবীদদের অনেকে।

পক্ষান্তরে, নিজ নিজ স্থান থেকে জোর লবিং ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে খোকন সাহা, চন্দনশীল এবং ভিপি বাদল। জেলা পরিষদ নির্বাচনের সিডিউল ঘোষনার পর তারা মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। তাই আগামী জেলা পরিষদ নির্বাচনে কে পান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এখনই সেটা বলা যাচ্ছে না।