জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

29
জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলার নানাবিধ সমস্যা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন দপ্তরের ত্রুটি বিচ্যুতির বিষয়ে জানতে চেয়ে নানা প্রশ্ন করেন কমিটির সদস্যরা এবং সেই সকল সমস্যার বিষয়ে গৃহিত সমাধান এবং ভবিষ্যতে করণীয় সম্পর্কে তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা।

আজ রবিবার (১৪ জুলাই) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) ও ভারপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মৌরীন করিম। সভায় সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মৌসুমী বাইন হিরা গত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন।

আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিগত বেশ কয়েকটি সভায় জেলা পুলিশ সুপারের অনুপস্থিতির বিষয়টি তুলে ধরে আগামী সভাগুলোতে তার উপস্থিতি কামনা করেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আরিফ আলম দিপু। এছাড়া, কিশোর গ্যাংয়ের লাগাম টেনে ধরতে এবং বিগত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তার উত্থাপিত অটোরিকশার ব্যাপকতা রোধ করাসহ নগরীর যানজট নিরসনে গৃহিত পদক্ষেপ সমূহের বিষয়ে জানতে চান তিনি।

সভাপতির সাথে যোগ করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন বলেন, শুধু পুলিশ সুপারই নয়, জেলার ৫ জন এমপি, সিটি মেয়র, র‌্যাবের সিইও সহ এই কমিটির সংশ্লিষ্ট সকলের উচিত সভাগুলোতে নিয়মিত উপস্থিত হওয়া। এতে অধিকতর আলোচনা করা সহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে দ্রুত সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। কেন তারা উপস্থিত হননা তাও জানতে চান প্রেসক্লাব সম্পাদক। একইসাথে, নব-নির্বাচিত ৪ জন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এই সভায় উপস্থিত হওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং নিয়মিত এই সভাগুলোতে তারা যেন উপস্থিত হন সেই বিষয়েও আলোকপাত করেন তিনি। তিনি বলেন, আপনারা উপস্থিত হলে আপনাদের নিজেদেরই লাভ, কেননা আপনাদের নিজ নিজ এলাকার সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা কমিটির যে রিপোর্ট তাতে আমরা দেখলাম মে মাসের তুলনায় জুন মাসে অপরাধের সংখ্যা কম। কিন্তু মে মাসে খুন হয়েছে মাত্র ৪টি, বিপরীতে জুন মাসে খুন হয়েছে ১০টি। খুনের চেয়ে বড় আর কোনো অপরাধ তো নেই। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই আগের চেয়ে ভালো নয়। বরং এখানে অপরাধের হার কম দেখানোর একটি প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে, এ বিষয়ে খতিয়ে দেখতে হবে। কেননা, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে যে পরিমাণ অভিযোগ আমাদের কাছে তথা সাংবাদিকদের কাছে যায়, তাতে আমরা মনে করি, অপরাধের সংখ্যা কম দেখানো হচ্ছে। একইসাথে, থানাগুলোতে গিয়ে যথাযথ সেবা পায় না ভুক্তভোগীরা। মামলা, অভিযোগ ও জিডি গ্রহন না করার একটি প্রবণতা দেখা যায় থানাগুলোতে। আগে, অভিযোগ গ্রহনের পর রিসিভ কপি দিলেও এখন তা না দিয়ে একজন এস আইয়ের নাম্বার অভিযোগের পিছনে দেয়া হয় এবং তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এই ধরনের নিয়ম আগে ছিলো না, গত কয়েকবছর ধরে তা দেখা যাচ্ছে।

সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, আমাদের সোনারগাঁয়ের ৩টি সমস্যার বিষয়ে কথা বলতে চাই, সেগুলো হলো মাদক, দখল ও দূষণ। সোনারগাঁয়ে দিন দিন মাদকের ব্যাপকতা বাড়ছে, যা প্রতিরোধে সকলের সহযোগীতা ও প্রশাসনের জোরালো ভুমিকা রাখার আবেদন জানান তিনি। দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ও জামপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় জমি দখলের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে বড় বড় কয়েকটি কোম্পানি এক বিঘা জমি কিনে আরও ১০ বিঘা জমির উপর সাইনবোর্ড টানিয়ে দিচ্ছে, এতে করে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে স্থানীয়রা। দূষণের বিষয়ে কালাম বলেন, দূষণের কারণে গোটা সোনারগাঁয়ে দিন দিন বিশুদ্ধ পানি ও পরিবেশের ব্যাপক সংকট দেখা দিচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন পুকুরের পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে, যেগুলোতে পানি আছে সেগুলোও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। একইসাথে, সোনারগাঁ পৌরসভার নির্বাচন গত আড়াই বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে এ সময়ে পৌরবাসীর সীমাহীন ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। নির্বাচন কেন বন্ধ রাখা হয়েছে তা জানতে এবং দ্রুততর সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার আহবান জানান তিনি।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ^াস বলেন, ইদানিং খুনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনারা সকলেই দেখেছেন বন্দর ও সদরে ২টি খুনের ঘটনা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পুরো দেশে ভাইরাল হয়েছে। একটি হলো বন্দরের মনু হত্যা, আরেকটি সদরের সুরুজ আলী হত্যা। দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায়ই সিসি টিভির ফুটেজে দেখা গেছে, খুনীরা দিনের আলোতে প্রকাশ্যে তাদেরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। যদিও ২টি ঘটনায়ই পুলিশ পৃথকভাবে বেশ কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। তবে, মূল অপরাধীরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারকরা সহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের পরামর্শ দেন তিনি।

জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্কুল-কলেজ চলাকালীণ সময়ে শিক্ষার্থীদেরকে রাসেল পার্ক ও ৫নং ঘাট এলাকায় আড্ডা দিতে দেখা যায়। বিগত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাগুলোতে এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার আমি কথা বলেছি। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। তাই পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কেননা, এভাবে স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে পার্ক-ঘাটে ঘুরে বেড়ালে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি তারা বেপথে পা বাড়াবে।

জাহাজী শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাহমুদ হোসেন বলেন, চুলা প্রতি গ্যাসের বিল ১০৮০ টাকা প্রতি মাসে পরিশোধ করলেও আমরা গ্যাস পাই না কেন? রাত ১১টার পর থেকে গভীর রাত ৩টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে, সেই সময়ে পরিবারের গৃহিনী তথা মা-বোনেরা কিভাবে রান্নার কাজ করবে? বাংলাদেশে একমাত্র তিতাস কর্তৃপক্ষই মূল্য নিয়েও গ্রাহকদের পণ্য ডেলিভারির সুবিধা দেয় না, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তিনি বলেন, যখন কোনো এলাকার মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে তিতাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন বা ঝাড়ু মিছিল করে তখন তিতাস কর্তৃপক্ষ ঐ এলাকায় ১৫-২০দিন গ্যাস সরবরাহ করেন, তাও এক বেলা করে। কিন্তু ১৫/২০দিন পর আবারও তারা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় এবং অজুহাত দেখিয়ে বলে সিস্টেম লস। খুব কষ্ট লাগে, যখন প্রতি মাসে বিল দেয়ার পরও গ্যাস পাই না, কিন্তু দেখি এবং শুনি আমাদের আশেপাশেই প্রচুর অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে। তিতাস কর্তৃপক্ষের যোগসাজশেই সকল অবৈধ সংযোগ দেয়া হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্যাস সংযোগ দিতে রাইজার লাগে, যা বাইরে কোথাও পাওয়া যায় না। তিতাস কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। তাছাড়া, গত ৫ বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জে বৈধ গ্যাস সংযোগের সংখ্যা কতো তা জানতে চাওয়া হলেও তিতাস কর্তৃপক্ষ কখনোই তা বলে না, আর বললেও আমরা তা জানি না।

এসকল প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে না পারলেও নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিতাসের ডিজিএম মামুনার রশিদ বলেন, গ্যাসের সমস্যা একটি জাতীয় সমস্যা। দিন দিন গ্যাসের চাহিদা বেড়েই চলেছে, কিন্তু গ্যাসের সরবরাহ দিন দিন কমছে। ২০১০ সালের আগে কোনো অবৈধ সংযোগ ছিলো না, কিন্তু ২০১০ সালে সরকারের পক্ষ থেকে গ্যাসের নতুন সংযোগ দেয়া বন্ধ ঘোষণা করার পর থেকেই মানুষ অবৈধভাবে সংযোগ দিয়ে আসছে। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আসছি। কিন্তু আমরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর পুনরায় তারা অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে নেয়। এসকল ঘটনায় তিতাসের কোনো স্টাফ বা কর্মকর্তারা জড়িত নন বলেও সাফাই গান তিনি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন উৎপাদন ও শিল্প কারখানা ও বিদ্যুত অফিসে গ্যাস সরবরাহ করতে হয়, যা না করলে জাতীয় সংকট তৈরি হবে। যদি এসকল স্থানে গ্যাস সরবরাহ করতে না হতো, তাহলে গ্যাসের কোনো সংকট হতো না বলেও সাফাই পেশ করেন তিনি।

এসময় সভার সভাপতি স্থানীয় সরকার বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) ও ভারপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মৌরীন করিম তিতাসের ডিজিএম কে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে, কিন্তু আপনি বিভিন্ন কথা বললেও মূল প্রশ্নগুলোর কোনো ব্যাখ্যা দেননি। তিতাসের লোক ছাড়া গ্যাসের রাইজার সাধারণ মানুষের পক্ষে লাগানো সম্ভব কিনা এমন প্রশ্ন করেন তিনি। এছাড়া, জেলায় মোট বৈধ গ্যাসের গ্রাহক সংখ্যা কতো তাও জানতে চান তিনি। একইসাথে, গ্যাসের বিষয়ে আসলেই মানুষ তীব্র ভোগান্তিতে আছে উল্লেখ করে মৌরীন করিম বলেন, দ্রুত এসকল বিষয়ের সমাধান করবেন।

একইসাথে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই তিতাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি বলেন, তিতাসের লোক ছাড়া রাইজারের সংযোগ স্থাপন করা কখনোই সম্ভব নয়। এছাড়া, আপনারা একটি গ্যাস সংযোগ দিয়ে অর্থণৈতিক সুবিধা গ্রহন করে ৫টি চুলা ব্যবহারের অনুমতি দেন সেই বিষয়েও আমরা জানি। অবৈধ সংযোগ কে বা কারা দেয় তা যদি বের করতে না পারেন এবং অবৈধ সংযোগ স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহন করতে না পারেন তাহলে সরকারের বেতন কেন নেন এমন প্রশ্নও রাখেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবীদ।

এসকল প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিতাস ডিজিএম মামুনার রশিদ। তবে, তিনি বলেন, জেলায় বর্তমান তিতাসের প্রায় ৮২ হাজার গ্রাহক রয়েছে। যার বিপরীতে কর্মী রয়েছে ২৫ থেকে ৩০ জন। অপেক্ষাকৃত দূর্বল এই জনবল দিয়ে বিশাল এই গ্রাহকদের নজরদারী করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।

জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুল হাই আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাবাসী ৫ বছরের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলো, কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান ১৬ বছর যাবৎ সেই চেয়ারে বসে দায়িত্ব পালন করছেন। নিজ স্বার্থে ছোট একটি মামলা দায়েল করে বছরের পর বছর নির্বাচন কেন বন্ধ রাখা হয়েছে তা জানতে চান আবদুল হাই।

এছাড়া, সভায় মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহতা এবং তা প্রতিরোধে বিশদ আলোচনা করা হয়। এসময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, মাদক প্রতিরোদে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। কিন্তু মাদক ও কিশোর গ্যাং সহ সকল অপরাধ নির্মূলে সামাজিকভাবে ও পারিবারিকভাবে সকলকে সচেতন হতে হবে। আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে যাচ্ছে এসকল বিষয়ে নজর রাখলে অপরাধের পরিমাণ অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি। তবে, পুলিশ সুপারের অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রেসক্লাব সভাপতির অভিযোগের নোট নিলেও সেই বিষয়ে কোনো উত্তর করেন নি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সভাপতির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মৌরীন করিম বলেন, আমরা অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এসকল বিষয়ে দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহন করে আগামী আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তার রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা দেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা সকলেই জানি মাদক নারায়ণগঞ্জের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে, নিজ নিজ পরিবারের দিকে, নিজের সন্তানদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা, মাদক আছে বলেই কিশোর গ্যাং তৈরি হয়, মাদকের টাকার জন্য এই কিশোরগ্যাংই একসময় ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, এক পর্যায়ে খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না তারা, যার উদাহরণ বন্দর ও সদরের সাম্প্রতিককালের দুটি হত্যাকান্ড।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মশিউর রহমান, এন এস আই এর যুগ্ম পরিচালক, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার, রূপগঞ্জ উপজেলার নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, আড়াইহাজার উপজেলার নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান স্বপন, বন্দর উপজেলার নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন ও জেলার পাঁচ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

এছাড়া, র‌্যাব-১১, নৌ-পুলিশ, বিজিবি, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়, জেলা শিক্ষা অফিস, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, জেলা তথ্য অফিস, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর, নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধিবৃন্দ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।