আর নয় পকেট কমিটি দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের ...

জেলার সর্বত্র প্রতিরোধের মুখে মামুন মাহমুদ

171
জেলার সর্বত্র প্রতিরোধের মুখে মামুন মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

সিদ্ধিরগঞ্জে থানা বিএনপির কমিটি থেকে দলের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি করতে গিয়ে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ।

বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হাতে পিটুনির শিকার হয়েছে মামুন মাহমুদের অনুগত ভাড়াটে কর্মীরা। প্রমাণ হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির মূল ধারাকে বাদ দিয়ে এই সম্মেলন করার চেষ্টা করা হয়েছিলো এমন দাবি তৃণমূলের নেতকর্মীদের। যার ফলে প্রতিবাদী নেতাকর্মীদের তোপের মুখে দশ মিনিটও টিকতে পারেনি মামুন মাহমুদের ভাড়াটে বাহিনী।

এই অবস্থা শুধু সিদ্ধিরগঞ্জে নয় বরং ফতুল্লা, সোনারগাঁ আড়াইহাজার সহ জেলার সর্বত্র। ফলে বুঝাই যাচ্ছে দেশের অন্যতম বৃহৎ জনপ্রিয় দল বিএনপি এখন মামুনদের মতো নেতাদের খপ্পরে পরে একেবারে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। নেতাকর্মী শুন্য হয়ে দলটি এখন একেবারে নিশে^স হওয়ার দ্বাড় প্রান্তে এসে ঠেকেছে। তাই মামুন তার নিজ থানায় কমিটি করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ফতুল্লা, সোনারগাঁও এবং রুপগঞ্জে এখন কি অবস্থার সৃষ্টি হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন, আজ যদি এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার জেলা বিএনপির আহবায়ক থাকতেন তাহলে সারা জেলায় বিএনপির ভেতরে এমন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতো না। তাদের মতে, এডভোকেট তৈমুরকে দল থেকে বহিস্কার করার পর একেবারে বেপরোয়া হয়ে উঠেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ। নাসিক নির্বাচন করার কারনে তৈমুর আলম খন্দকারকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। আর এই বহিস্কারের অবৈধ ও অন্যায় ফায়দা লুটতে তৎপর হয়ে উঠেন মামুন মাহমুদ।

তিনি তড়িঘড়ি করে তার পছন্দের লোকদের নিয়ে বিভিন্ন থানার আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করে ফেলেন। আর এসব কমিটি ঘোষনার পর এখন দ্রুত থানা সম্মেলন করে প্রত্যেক থানায় নিজের পকেট কমিটি গঠন করতে শুরু করেন এ নেতা। এরই মাঝে আড়াইহাজার থানা কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছেনও তিনি। যদিও সেখানে নজরুল ইসলাম আজাদ জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তিনি দলের মহাসচিবকে এনে এই সম্মেলন করেন। সেখানেও দলের গঠনতন্ত্র লঙ্গন করা হয় এবং দলের দীর্ঘ দিনের পরিক্ষীত নেতাকর্মীদের মাইনাস করে গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এই কমিটিও মামুন মাহমুদের অনুগত কমিটি বলে জানা গেছে।

এদিকে, আড়াইহাজার সম্মেলনের দু’দিন যেতে না যেতেই এবার দলের হামলা মামলার শিকার বহু নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি গঠনের পায়তারা চালানো হয়। শুক্রবারই এই কমিটি গঠনের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দলের বঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ ও সংঘবদ্ধ হয়ে সম্মেলনে হামলা চালায় এবং সম্মেলন ভন্ডুল করে দেয়। এসব কারনে সারা নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপিকে যারা ভালোবাসে তাদের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পরে। গতকাল নারায়ণগঞ্জ শহরেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়। দলে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য মামুন মাহমুদকে দায়ী করা হয়।

বঞ্চিত নেতাকর্মীরা জানান, পদলোভী মামুন মাহমুদ জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার জন্য থানায় থানায় পকেট কমিটি গঠন করে চলেছেন। এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার না থানার কারনে তিনি সুযোগের অপব্যাবহার করছেন। তবে গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা তার খায়েস মিটিয়ে দিয়েছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। তৈমুর না থাকার সুযোগে মামুন মাহমুদ সাংগঠনিক ভাবে বিএনপিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তিনি নিজের আখের গুছাচ্ছেন। এরই মাঝে প্রতিরোধের মুখে পরেছেন মামুন।