জনপ্রিয়তা না থাকলেও আজাদের সম্ভাবনাই বেশি

213
আড়াইহাজারে বিএনপির তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন চাইতে পারেন

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ-২ আসন তথা আড়াইহাজারে এবার বিএনপির মনোনয়ন চাইতে পারেন তিনজন এমনটাই দাবী তাদের অনুসারীদের। এরা হলেন সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর, মাহমুদুর রহমান সুমন এবং নজরুল ইসলাম আজাদ।

গত নির্বাচনেও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তারা। অজানা কোনো কারণে তৃণমূলে অপেক্ষাকৃত কম গ্রহনযোগ্যতা সম্পন্ন নজরুল ইসলাম আজাদই পেয়েছিলেন এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন এমনটাই দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

তাই অনেকে মনে করেন, এবারও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে তিনিই পাবেন দলটির মনোনয়ন। যদিও আড়াইহাজারের জনগনের মাঝে তার কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই বলেই দাবি স্থানীয়দের।

এক অর্থে তিনি আড়াইহাজারের বাসিন্দাও নন। তার বাড়ি একেবারে নরসিংদীর বর্ডার এলাকায়। বিগত নির্বাচনে এই নজরুল ইসলাম আজাদকে দলের মনোনয়ন দেয়া হলেও তিনি এক মিনিটের জন্যও মাঠে নামেননি বা মাঠে নামার শক্তি অর্জন করতে পারেননি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

ঐ নির্বাচনে গোটা আড়াইহাজার ঘুরে দেখা গিয়েছিলো, কোথাও নজরুল ইসলাম আজাদের একজন কর্মীও মাঠে ছিলো না। আগের রাত থেকেই সব কয়টি কেন্দ্র দখল করে নিয়েছিলো বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর লোকজন।

ফলে সেই নির্বাচনে আজাদের লোকেরা কোনো প্রতিরোধ গড়াতো দূরের কথা, তারা নিজেরাই ছিলো এলাকা থেকে বহু দূরে দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের। এমন কি নির্বাচনের আগেও এই আজাদকে একটি মুহুর্তের জন্য মাঠে নামতে দেয়া হয়নি। অথচ তিনি সব সময় বড় বড় কথা বলেন। দলের কেন্দ্রকে ম্যানেজ করে তিনি আড়াইহাজার বিএনপিকে ধ্বংস করে ছেড়েছেন বলেও দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের।

এদিকে আড়াইহাজারের সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আড়াই হাজার হলো সাবেক এমপি আঙ্গুর পরিবারের ঘাটি। এই জনপদের জনপ্রিয় সাবেক এমপি হলেন আতাউর রহমান আঙ্গুর। এছাড়া আঙ্গুরের বড় ভাই প্রয়াত জননেতা বদরুজ্জামান খসরু ছিলেন আড়াইহাজারে বিএনপির ফাউন্ডার।

তিনিই আড়াইহাজারে বিএনপির বীজ রোপন করেছেন বলে জানা গেছে। সেই খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমনও এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আজাদ নাকি জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ দাবি তার অনুসারীদের। আর এই পরিচয় ব্যবহার করেই জনপ্রিয় না হয়েও এলাকার নেতাকর্মীদের তিনিই নিয়ন্ত্রন করছেন। আর কোনো জনমত জরিপ না করেই খোদ ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো নেতাও চলে আসেন আজাদের নিমন্ত্রনে।

তাই জনগনের মাঝে গ্রহনযোগ্যতা না থাকলেও এই আজাদই এখন আড়াইহাজার বিএনপির হর্তাকর্তা নিয়ন্ত্রক এমনটাই মনে করে নেতাকর্মীরা। ফলে আগামী নির্বাচনে আবারও বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে তার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছে বিএনপির বিক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা।