চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে বেপরোয়া ছিনতাইকারীরা

282

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

অবাধে ছিনতাই করার সুযোগ পাওয়ায় ভয়ংকর হয়ে উঠেছে ফতুল্লার মাসদাইর, জামতলা এবং ইসদাইর এলাকার ছিনতাইকারীরা। মাঝরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত সাধারন নীরিহ মানুষের সব কিছু কেড়ে নিচ্ছে এই ছিনতাইকারী গ্রুপ।

জানা গেছে ফতুল্লা থানার জামতলা ঈদগা ময়দান থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত রাস্তাটি ছিনতাইকারীদের অভয়ারন্য। এই রাস্তায় রাত বারোটার পর থেকে ভোর সারে পাঁচটা পর্যন্ত চলে ছিনতাই। ৪/৫ জনের একটি ছিনতাইকারী গ্রুপ এই রাস্তায় সক্রিয় রয়েছে। বিশেষ করে মাসদাইর কবরস্থান এবং গাবতলী আমেনা গার্মেন্ট সংলগ্ন এলাকায় ভয়ানক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই রাস্তায় গত এক মাসে প্রায় প্রতি রাতেই ঘটেছে ছিনতাই এর ঘটনা।

ছিনতাইকারী নীরিহ সাধারন মানুষের কাছ থেকে কেবল টাকাপয়সা আর মোবাইল সেট সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, বরং তারা ছিনতাই করার শুরুতে ধারালো ছুড়ি দিয়ে পথচারী বা রিকশা আরোহীদের গায়ে আঘাত করছে। এতে অনেকেই রক্তাক্ত জখম হচ্ছে।

সোমবার রাত আড়াইটায় মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার মোল্লা মাসদাইর কবরস্থানে সামনে দিয়ে মাসদাইরের দিকে মোড় নিয়ে একটু ভেতরে যাওয়ার পর চার ছিনতাইকারী তার পথ রোধ করে এবং ছুড়ি দিয়ে তার শরীরে আঘাত করে। এই সময় ছিনতাইকারীরা তার মানি ব্যাগ এবং দামি মোবাইল সেটটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মানি ব্যাগে ছয় হাজার টাকা এবং জাতীয় পরিচয় পত্র ছিলো।

এর আগে একই স্থানে ছিনতাইকারীদের কবলে পরে মোবাইল সেট এবং মানি ব্যাগ সহ টাকা পয়সা খোয়ান সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা। ছিনতাইকারীরা মাঝ রাতে তার রিকশার গতি রোধ করে তার কাছ থেকে মোবাইল সেট ও টাকা সহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

এছাড়া, সম্প্রতি গাবতলীর আমেনা গার্মেন্টের সামনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন এক পুলিশ সদস্য। জানা গেছে রাত তিনটায় রিকশা যোগে বাসায় ফিরছিলেন এই পুলিশ সদস্য, পথিমধ্যে গতিরোধ করে চার থেকে পাঁচজন ছিনতাইকারী। এসময় তার গায়ে পুলিশ লেখা জ্যাকেট ছিলো এবং পুলিশ লেখা ব্যাগও তিনি বহন করছিলেন। তিনি ছিনতাইকারীদের বলেন যে তিনি পুলিশ। কিন্তু তারপরেও ছিনতাইকারীরা তাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং তিনি রক্তাক্ত জখম হন। তবে তার প্রতিরোধের মুখে ছিনতাইকারীরা তার মানি ব্যাগটি নিতে ব্যার্থ হয়। তবে এ সময় তিনি তার মোবাইল সেটটি হারান। ছিনতাইকারীদের ছুড়িকাঘাতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন।

মূলত এভাবেই এখন প্রতিনিয়ত ছিনতাইকারীরা এ এলাকাকে ছিনতাইয়ের অভয়ারন্য হিসাবে গড়ে তুলেছে। পুলিশ প্রশাসনের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের অভাবে ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে রাতের আধারে নীরিহ সাধারন মানুষের উপর ঝাপিয়ে পরছে ভয়ংকর এসব অপরাধীরা।