নেতৃত্বে হাড্ডি সুমন, তোফায়েল, মামুন, উৎস...

চাষাড়া ডাকবাংলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত ছিনতাইয়ের মহোৎসব

121

স্টাফ রিপোর্টার :
মাঝ রাতের পর থেকে চাষাড়ার ডাকবাংলা হতে পুলিশ লাইন পর্যন্ত রাস্তাটি ছিনতাইকারীদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়। বিশেষ করে রাত দুইটা থেকে ফজরের আজান পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করতে গিয়ে বহু মানুষ সর্বশান্ত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে ছিনতাইকারী হাড্ডি সুমন, মামুন, তোফায়েল এবং উৎস’র নেৃতত্বে একটি ভয়ংকর ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরা নানা ধরনের অস্ত্রের মুখে রিকশা অটো রিকশা এবং সিএনজি থামিয়ে নীরিহ সাধারন মানুষের সব কিছু কেড়ে নিচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে তিন ঘটিকায় এই ছিনতাইকারীরা আলআমিন শিকদার নামক এক ব্যাক্তির কাছ থেকে নগদ আশি হাজার টাকা এবং তার মোবাইল ছিনতাই করে নিয়েছে। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৪.২০ টায় গাবতলীর আতিকুর রহমান নাম এক ব্যাক্তি তার ছোট ভাই বিশাল এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রুমি বেগম জামালপুর থেকে আসার সময় জামতলার হীরা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে তাদের বড় মিশুক থামিয়ে অস্ত্রের মুখে এক জোরা কানের দুল, চারটি স্বর্নের আংটি, একটি স্বর্নের চেইন, রুপার নুপুর, ব্রেসলেট ও চারটি মোবাইল সেট এবং নগদ ৩৬ হাজার টাকা সহ মোট প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল অস্ত্রের মুখে লুটে নেয়। এই ঘটনায় আতিকুর রহমান বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি এসআই নন্দন চন্দ্র দাসকে তদন্ত করতে দেয়া হয়। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এভাবে প্রতি রাতেই চাষাড়া ডাকবাংলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এতে সর্বস্ব হারাচ্ছে নীরিহ সাধারন মানুষ। জানা গেছে এই ছিনতাইকারীরা একজন যুবদল নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা শুধু ছিনতাই করছেনা এই রাস্তার দুই পাশে দোকানপাটে নিয়মিত চাঁদাবাজী করছে এবং তারা নিজেরা সরকারী জায়গা দকল করে দোকানপাট তুলে ভাড়া দিচ্ছে। ফলে আশপাশের এলাকার মানুষের মাঝে নেতিবাঁচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী অবিলম্ব পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।