এখন দুই প্রার্থী নিয়ে চরম বিভ্রান্তিতে জনগন

98

স্টাফ রিপোর্টার :

এতোদিন নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বিএনপির একক ঘোষিত প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তিনি নিজে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন এবং এই সরে যাওয়ার আগে এটা নিয়ে তিনি কারো সাথে কোনো পরামর্শ করেন নাই। যদিও পরে তার পক্ষের কর্মী সমর্থকরা তাকে ফিরে আসার দাবি জানালে তিনি ফিরে এসেছেন। কিন্তু এরই মাঝে তার যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। সংবাদ সম্মেলন করে মাসুদুজ্জামানের সরে যাওয়া নিয়ে তিনি নিজে এবং দল হিসাবে বিএনপি জাতীয় পর্যায়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পরেন। ফলে বিএনপির কেন্দ্র থেকে এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খানকে ডেকে নিয়ে মাঠে নামতে বলা হয়। নির্দেশনা পেয়ে সাখাওয়াৎ দাবি করেন তাকেই দেয়া হয়েছে বিএনপির মনোনয়ন। অপরদিকে মাসুদুজ্জামানও দাবি করেন তার মনোনয়ন পরিবর্তন হয়নি এবং তিনি নির্বাচন করবেন। তাই আসলে কে পাবেন বিএনপির মনোনয়ন এটা নিয়ে এখন জনগনের মাঝে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা চলছে। তবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাধারন মানুষের মতে মাসুদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করে বেশ বড় ধরনের ভুল করেছেন। কেনোনা রাজনীতিতে ভয়ভীতি, মানঅভিমান, রাগবিরাগের কোনো সুযোগ নেই। এসব রাজনীতি বিষয় নয়। তাই মাসুদুজ্জামান কেনো সংবাদ সম্মেলন করে সড়ে গেলেন সেটা কেউ জানে না। পরে তিনি তার সমর্থ কদের দাবির মুখে ফিরে এসেছেন। তবে মাসুদুজ্জামানই এডভোকেট সাখাওয়াৎকে মাঠে নামার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে এই শহরের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। তারা আরো মনে করেন, দল হিসাবে বিএনপিরও কিছু করার ছিলো না। কেনোনা তারা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তিনি যদি নিজের থেকে সরে যান তাহলে দল বিপাকে পরে যায়। কারন এরই মাঝে তফসিল ঘোষনা হয়ে গেছে এবং নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি চলছে। তাই এডভোকেট সাখাওয়াৎকে ডেকে নিয়ে মাঠে নামানোর বিষয়টি বিএনপির জন্য খুবই জরুরী ছিলো বলেই বিশ্লেষকরা মনে করেন। ফলে মাসুদুজ্জামান যেভাবে বিএনপির মনোনয়নকে খাটো করে দেখেছেন তাতে সেই মনোনয়ন তিনি আর ফিরে পাবেন কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। এতোদিন বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী একজন হলেও এখন সাখাওয়াৎ জোরালো দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তাই নারায়ণগঞ্জের জনগন বিএনপির এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে চরম বিভ্রন্তির মাঝে রয়েছেন। ##