আশি ভাগ নেতাকর্মীকে মাইনাস করে সাজানো হচ্ছে ওয়ার্ড-ইউনিয়ন-থানা...

গিয়াসকে মাইনাস করে সভাপতি হতে প্রস্তুত মামুন

193
গিয়াসকে দুরে রাখাই মামুন মাহমুদের মূল লক্ষ্য

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

বিএনপির তৃণমূলের আশি ভাগ নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে পুরো জেলায় সাজানো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি। আর এই কমিটির সভাপতি হতে চাইছেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আর সেক্রেটারী হতে চাইছেন জাহিদ হাসান রোজেল ও রুপগঞ্জের নাসির উদ্দিন।

একেবারে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও থানা পর্যন্ত যাদেরকে কাউন্সিলর করা হচ্ছে তারা সবাই মামুন ও রোজেলদের পকেটের লোক বলে জানায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এমন অনেককে বিএনপির পদ দেয়া হচ্ছে যারা নাকি কোনো দিন বিএনপির রাজনীতি করেন নাই। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং থানা কমিটি গঠন করার বেলায় দলের গঠনতন্ত্রও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের।

তাদের মতে, নিয়ম হলো প্রথমে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর বানাতে হবে। পরে এই কাউন্সিলররা ওয়ার্ড সম্মেলন করে ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করবেন। পরে ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা ইউনিয়ন সম্মেলন করবেন এবং ধারাবাহিক ভাবে ইউনিয়ন কমিটি গঠন হওয়ার পর থানা কমিটি এবং থানা কমিটি গঠন হওয়ার পর জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

কিন্তু মামুন মাহমুদসহ সুযোগ সন্ধানীরা সুযোগ পেয়ে বিএনপির গঠনতন্ত্রকে কোনো রকম তোয়াক্কা না করে ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত কমিটি সাজাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। আর এসব করতে গিয়ে সব কিছু গোপন রাখা হচ্ছে। কোনো কমিটিই প্রকাশ হতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এসব কমিটি করার সময় নিজেদের লোক দিয়ে ফেসবুকে কিছু প্রচার চালানো হচ্ছে। অতি গোপনীয়তার মাধ্যমে ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত কমিটি সাজানো হচ্ছে।

ফলে, তাদের সাজানো ফাঁদে পা দিয়ে জেলা কমিটি গঠন করা হলে সেখানে সভাপতি হচ্ছেন মামুন মাহমুদ আর সাধারন সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে আছেন জাহিদ হাসান রোজেল এবং নাসির উদ্দিন। তাই সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হবেন বলে যে প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে সেটা সঠিক নয় বলে জানা গেছে। কারন এমন গোপনীয়তার সঙ্গে এবং অসংবিধানিক ভাবে এসব কমিটি গঠন করা হচ্ছে যে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন জানতেই পারছেন না কোথায় কি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এ ক্ষেত্রে মোটা অংকের টাকা খেয়ে এদেরকে সহযোগীতা করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ।

তাই গিয়াস উদ্দিন জেলা সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে যে প্রচার চলছে সেটা সঠিক নয়। কারন মামুন মাহমুদরা যেভাবে ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত পকেট কমিটি গঠন করছেন তাতে সম্মেলন হলে গিয়াস উদ্দিন সভাপতি পদে জয়ী হতে পারবেন না। আর এটা ভালো করেই জানেন এই সাবেক এমপি। তাই তিনি এ জেলা সম্মেলনে অংশ করবেন না বলেই জানা গেছে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে দল থেকে বহিস্কার করার পর একটি বড় সুযোগ পান মামুন মাহমুদ ও তার দোষররা। বিপরীতে কোনঠাসা হয়ে পড়েন এডভোকেট তৈমুর আলমের অনুসারীরা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মামুন দ্রুত নিজের পকেট কমিটি করে ফেলেন। আর এভাবেই এই জেলায় বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে প্রায় শেষ করে ফেলা হচ্ছে বলেই এই দলের বঞ্চিত নেতাকর্মীরা মনে করেন।