গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় হাজারো ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনা ইতিহাসে বিরল : এড. সাখাওয়াত 

32

ছাত্রজনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের দাবীতে দ্বিতীয় দিনেও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে মহানগর বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) বিকেলে নগরীর হোসিয়ারী সমিতির সামনের সড়কে এ অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়।

এতে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, যে সকল ছাত্র, শ্রমিক, জনতা এ সরকারের হাতে নিহত হয়েছে এবং গত ১৬ বছরে বিএনপির যত নেতাকর্মী খুন, গুমের শিকার হয়েছে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। সংগ্রামী বন্ধুরা, আপনারা দেখেছেন, বাংলাদেশ সারা পৃথিবীর বুকে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশে তারা যে বসন্তের সৃষ্টি করেছে, সেটা গণতন্ত্রের বসন্ত। সেই বসন্ত হলো বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার বসন্ত। হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকার ছিলো সেটা ছিলো খুনি ও দূর্ণীতিবাজ সরকার। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যেভাবে হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে সেটা বিরল। শেখ হাসিনার হাতে রক্তের দাগ, সেই হত্যার বিচার হবে বলে সে দেশ ছেড়ে পারিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে বলতে চাই, ছাত্র-জনতা হত্যাকারী, এদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী, গুম-খুনকারী, এদেশে দূর্ণীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে সেই তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করার আওয়ামী লীগের সেই প্রধানমন্ত্রী সহ মন্ত্রী, এমপি, সন্ত্রাসী, হত্যাকারীদের ধরে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সদস্য সচিব এড. টিপু বলেন, শহীদ জিয়ার স্বাধীন বাংলাদেশ আমরা কোন ষড়যন্ত্রকারীর হাতে তুলে দিতে পারিনা। দীর্ঘ ১৬টি বছর তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে ছিলাম। গত ৫ আগষ্ট কোটা আন্দোলন শুরু হয় তখন আমাদেরকে রাজপথে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। আমরা খুনি, সন্ত্রাসী হাসিনাকে বলতে চাই, আমরা শান্ত আছি আমাদেরকে শান্ত থাকতে দেন। দেশের ও নারায়ণগঞ্জের মানুষকে শান্তিতে ঘুমাতে দিন। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না। হিন্দু, মুসলিমদের মাঝে দাঙ্গা লাগানোর চেস্টা করবেন না। আপনি যা ভাবছেন বাংলাদেশে আর সেটা হবেনা। দেশের মানুষ আপনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

মেয়র আইভীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সবাই পালিয়ে গিয়েছে আর আপনি দেওভোগে বসে আছেন। আমরা যদি নির্দেশ দেই আপনার হোয়াইট হাউসের একটি ইটও থাকবেনা। তাই বলছি আপনি সাবধান হয়ে যান। বিএনপি অফিস দখল করেছেন, কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কোন খুনি, আত্মসাৎকারী এ দেশে থাকতে পারবেনা। তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো।

বক্তব্য শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, আনোয়ার হোসেন আনু, এড. রফিক, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. আনোয়ার প্রধান, মহানগর বিএনপির সদস্য ডাঃ মুজিবুর রহমান, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরিফ মায়া, মহানগরের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাখাওয়াত রানা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ, শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিক মাহমুদ, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুন সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।