বিল্লাল বসন্তের কোকিল, তাকে চাননা অনেকেই...

কে হবেন কুতুবপুর বিএনপির সভাপতি?

53
কে হবেন কুতুবপুর বিএনপির সভাপতি?

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক পদে বিল্লাল হোসেন আসিন হলেও আগামী দিনে এই ইউনিয়নের সভাপতি পদে তাকে অনেকেই দেখতে চান না। তাই ফতুল্লা থানার এই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়নে সম্মেলন চান অনেকেই। তবে বিল্লাল হোসেনকে আহবায়ক করার বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছে না।

তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছে, যদি ভোটাভোটি হয় তাহলে বিল্লাল কখনোই নির্বাচিত হতে পারবেন না। কারণ কুতুবপুরে তিনি বসন্তের কোকিল হিসাবে পরিচিত।

নেতাকর্মীরা জানান, অতীতে গিয়াস উদ্দিন যখন এমপি ছিলেন তখন বিল্লালকে সভাপতি বানিয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন। এখন আবার যখন জেলা বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন তখন আবার এই বিল্লালকেই আহবায়ক করা হয়েছে। তাই তার এই আহবায়ক হওয়ার বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। তাদের পরিস্কার বক্তব্য হলো বিল্লাল হোসেন বহু বছর রাজপথে ছিলেন না। বিশেষ করে বিএনপি রাস্ট্র ক্ষমতা হারানোর পর থেকে তাকে আর রাজপথে দেখা যায়নি। এখন আবার যখন বিএনপি নতুন করে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দখন তিনি এসে হাজির হয়েছেন এবং একেবারে কুতুবপুর ইউনিয়নের মতো একটি বড় ইউনিয়নে আহবায়কের পদ দখল করে বসেছেন।

এদিকে কুতুবুপর ইউনিয়ন বিএনপির তুনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আরো বলেন, তারা নেতা হিসাবে গিয়াস উদ্দিনকে মানেন। কারণ গিয়াস উদ্দিন একজন তুখোর রাজনীতিবিদ। এই মুহুর্তে এই জেলার রাজনীতিতে গিয়াস উদ্দিনের কোনো বিকল্প নেই। প্রমান হয়েছে নারায়ণগঞ্জে-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানও তাকে ভয় পান। তাইতো শামীম ওসমান বার বার গিয়াস উদ্দিনকে আক্রমন করে বক্তৃতা দিয়ে চলেছেন। তাই কুতুবপুরের সর্বস্তরের বিএনপি নেতারাই গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে সন্তুষ্ট বলে জানা গেছে। কিন্তু গিয়াস উদ্দিন এভাবে বিল্লালকে এনে তাদের উপর চাঁপিয়ে দেবেন এটা তারা বুঝতে পারেননি বলে জানান তারা।

অপরদিকে, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হতে বেশ কয়েকজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এরা হলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, দ্বীন ইসলাম দীলু, শ্রমিক দল নেতা বাবুল, সাবেক সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মোল্লা সহ আরো কয়েকজন।

নেতাকর্মীদের অনেকের মতে, শহীদ উল্লাহ দলের এই চরম দু:সময়ে মাঠে রয়েছেন এবং ঝুকি নিয়ে দলের জন্য কাজ করছেন। এলাকায় তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক হিসাবে পরিচিত। এবং দলের জন্য নিবেদিত প্রান একজন নেতা।

এছাড়া এই ইউনিয়নে সভাপতি হতে চান ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি দ্বীন ইসলাম দীলু। তিনি মাঠ পর্যায়ের একজন সক্রিয় নেতা হিসাবে পরিচিত। তিনিও এবার জোরালো ভাবে মাঠে রয়েছেন এবং সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন বলে জানা গেছে। তার সাথে মাঠে রয়েছেন অপর সক্রিয় নেতা বাবুল আহম্মেদ। বাবুল ফতুল্লার একজন গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক নেতা হিসাবে পরিচিত। তাই তিনি এবার কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চান বলে জানিয়েছেন।

বর্তমান সভাপতি লুৎফর রহমান খোকা এবং আরো একজন সাবেক সভাপতি আবারও সভাপতি হতে চান বলে জানা গেছে। তাই শেষ পর্যন্ত সম্মেলন হলে এবং ভোটাভোটি হলে নির্বাচিত হতে পারবেন না বিল্লাল হোসেন। বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীরা ভোটাভোটি চান। তখন কে নির্বাচিত হন সেটা আগাম বলা না গেলেও বিল্লাল যে নির্বাচিত হতে পারবেননা এটা বুঝা যাচ্ছে।