‘এদেরকে মাইনাস করে কেমন বিএনপি হবে?’

135
“এদেরকে মাইনাস করে কেমন বিএনপি হবে?”

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

ফতুল্লা থানা বিএনপি এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে দলের নতুন আহবায়ক কমিটির বাহিরে রাখা হলেও তারা মাঠ না ছাড়ার স্বিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ মনে করে, তাদেরকে দলের বাহিরে রেখে কার্যত বিএনপিকে দূর্বল করার মিশন নিয়ে খেলছেন কয়েকজন নেতা। তাদের মূল মিশন হলো কমিটি বানিজ্য।

তাদের মতে, দল থেকে পদত্যাগী একজন শিল্পপতির ইশারায় তার পছন্দের লোকদের নিয়ে করা হয়েছে ফতুল্লা থানা বিএনপির নয়া আহবায়ক কমিটি। কিন্তু যে সকল নেতৃবৃন্দকে বাদ দেয়া হয়েছে তারা হলেন বিএনপির প্রান। তাদের অনেকেই সেই জিয়াউর রহমানের সময় থেকে বিএনপি করেন। যেমন অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা এসএম নূরুল ইসলাম, সুলতান মাহমুদ মোল্লা, নাসিম আবেদিন, আবদুল কাদির খান সহ আরো অনেকে।

এছাড়া বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যারা এরশাদ বিরোধী এবং শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলন করেছেন তাদেরকেও বাদ দেয়া হয়েছে। যেমন কুতুবপুরের বিএনপি নেতা হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, বিল্লাল হোসেন, কাশীপুরের বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, মাসুদ আহম্মেদ বাবুল, কবির প্রধান, আলী হোসেন শিকদার, মঈনুল হোসেন রতন, বক্তাবলীর লোকমান হোসেন এবং হাসান আলী, ফতুল্লার এডভোকেট বারী ভুইয়া, এছাড়া ফতুল্লা থানা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকেও মাইনাস করা হয়েছে। এরা সকলেই বিএনপির পরিচিত মুখ। তাই এই নেতাদের বাদ দিয়ে বিএনপি কতোদূর এগুতে পারবে অনেকেরই জানা নেই। কেমন হবে এই বিএনপি কেউ বলতে পারছেন না।

এমন সব নেতাদের নিয়ে এবার বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে যাদের মাঝে খুব কম সংখ্যক নেতাকেই মানুষ চিনে বা দলকে নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা রয়েছে। এমতাবস্থায় গত মঙ্গলবার কুতুবপুরে হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লার বাসভবনে এক বিশেষ বৈঠক করেন নেতৃবৃন্দ। সেখানে তারা মাঠ না ছাড়ার স্বিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে তারা আরো সংঘবদ্ধভাবে মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কারন তারা খুব ভালো করেই জানেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছুই নেই। যে ব্যবসায়ী তাদেরকে দল থেকে মাইনাস করেছেন সেই নেতা বার বার এমপি হওয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি। এমন কি বিগত নির্বাচনে তাকে বাদ দিয়ে চেনা নেই জানা নেই কোথাকার কোন কাশেমীকে ধরে এনে মনোনয়ন দেয়া হয়। যদিও সেই কাশেমীকে মাঠেই দাড়াতে দেয়া হয় নাই। তাই আগামী নির্বাচনেও কি ঘটে বা কে পান বিএনপির মনোনয়ন সেটা মোটেও নিশ্চিৎ নয়।

এমন কি দেশে কোনো নির্বাচন হবে কি হবে না, আর হলেও সেই নির্বাচন কেমন হবে? নাকি আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসবে তা জানে না কেউই? অথচ এখানে গত প্রায় এক যুগ ধরেই চলছে কে কার লোক সেই হিসাব-নিকাশ। আর এটা সবচেয়ে বেশি করেছেন দলত্যাগী সেই শিল্পপতি নেতা।

অথচ ওই নেতা এসব না করে সবাইকে আপন করে নিলেও পারতেন। তাই আগামী দিনের রাজনীতিতে কি ঘটে সেটা যেহেতু জানার কোনো উপায় নেই তাই অন্ত:প্রান এই বিএনপি নেতাদের মাইনাস করা হলেও তারা সংঘবদ্ধভাবে মাঠে থেকে দলের জন্য কাজ করে যাবার স্বিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।