এক হতে পারলো না ফতুল্লা থানা বিএনপি

155
শাহাদাৎ বার্ষিকীতেও এক হতে পারলো না ফতুল্লা থানা বিএনপি

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতেও এক হতে পারলো না ফতুল্লা থানা বিএনপি। থানা বিএনপির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল এবং সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে পৃথক ভাবে পালন করা হয়েছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান।

যদিও ফতুল্লা থানা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম টিটু। কিন্তু এই কাজে তিনি কতোখানি সফল হতে পারবেন সেই প্রশ্ন উঠেছে।

কেননা, আহবায়ক কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা দাবি করছেন তারা ২৯জন একদিকে আর শহীদুল ইসলাম টিটু একা একদিকে। আর এই ২৯ জনই বিএনপি থেকে পদত্যাগী নেতা শাহআলমের অনুসারী বলে জানা গেছে। তাই শহীদুল ইসলাম টিটু একা কি করবেন?

ফলে শাহআলম যাদেরকে চাইবেন তারাই থাকবে ফতুল্লা থানা বিএনপির মূল কমিটিতে এমনটিই মনে করে শাহআলম অনুসারীরা। এখানে যারা শহীদুল ইসলাম টিটু বা সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী তাদের কাউকে কমিটিতে রাখা হবে না বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

অনৈক্য আর বিভেদের মাধ্যমে যদি কমিটি করা হয় তাহলে ফতুল্লায় দল শক্তিশালী হবে কি ভাবে এ প্রশ্ন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের? এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম টিটু এ প্রতিবেদককে জানান, প্রথমত শাহআলম সাহেব বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বিএনপির কোনো পদেই নেই। দলের দু:সময়ে তিনি দল ত্যাগ করেছেন। তাই যারা নিজেদেরকে শাহআলমের লোক দাবি করছেন তারাতো বিএনপির লোকই হতে পারেন না। কারন শাহআলম এখন বিএনপির কেউ নন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিস্কার করে বার বার বলছেন বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। তাই আমি মনে করি দলের কোনো নেতা বা কর্মীকে ব্যাক্তিগত ভাবে আমার পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু তিনিতো বিএনপি করেন। তাকে বাদ দিলে দূর্বল হবে আমার দল বিএনপি। তাই ফতুল্লায় সবাইকে নিয়েই গঠন করা হবে থানা বিএনপির মূল কমিটি।

কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম নূরুল ইসলাম, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি খন্দকার হুমায়ুন কবির, কুতুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা সহ অনেক সিনিয়ন নেতাকে দল থেবে বাদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি এদেরকে মাইনাস করে ফতুল্লায় দল গঠন হতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, যারা বলছেন আমি একা তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই কমিটির অনেকেই রয়েছেন আমার সাথে। এছাড়া ফতুল্লায় যারা বিএনপির পরিচিত মুখ তারা সকলেই আমার সাথে রয়েছেন। কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি লুৎফর রহমান খোকা, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি আকবর আলী সুমন, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সাধারন সম্পাদক মঈনুল হোসেন রতন সহ মাঠ পর্যায়ের জনপ্রিয় নেতাকর্মীরা সকলেই দলে ঐক্য চান।

টিটু বলেন, কুতুবপুরের হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, কাশীপুরের আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, কবির প্রধান, বক্তাবলীর লোকমান হোসেন, হাসান আলী, এনায়েতনগরের আবু তাহের আজাদকে মাইনাস করে আপনারা কিসের বিএনপি গঠন করতে চান? তাই আমি পরিস্কার ভাবে বলতে চাই আমি কখনোই কোনো মাইনাসের রাজনীতি করবো না। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দল গঠন করার পক্ষে আমি। আমি আমার লক্ষ্যে অবিচল থাকবো ইনশাআল্লাহ।