দেশের রাজনৈতি পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হচ্ছে...

এক সাথে মাঠে নামতে পারে চার বড় দল

132

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

বর্তমান সরকারের অধিনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেনা জাতীয় পার্টি, চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন এবং জামায়াত। তাহলে কাদের নিয়ে নির্বাচন করবে আওয়ামী লীগ। এই প্রশ্নটি এবার বড় করে উঠেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোট পাঁচটি দলের কমবেশি ভোট ব্যাংক আছে। এগুলো হলো আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত এবং চরমোনাই তথা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাই এসব দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে সেই নির্বাচন দেশে বিদেশে কোনো রকম গ্রহনযোগ্য হবে না বলেই মনে করেন দেশের রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল।

কেনোনা মার্কিন যুক্তরাস্ট্র সহ পশ্চিমা বিশ্ব এরই মাঝে ভিসা নীতি ঘোষনা করে বলেছে নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহনমূলক। তাই বিএনপিসহ এই চার দল যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে সেই নির্বাচন সরকার কাদের নিয়ে করবে সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া এসব দল যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে বিএনপির মনোবল আরো অনেক বেড়ে যাবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক মহল। আর সেই ক্ষেত্রে দেশে শুরু হতে পারে তুমুল আন্দোলন। কারন তখন বিএনপির সাথে এসব দলও মাঠে নামবে। তাই এখন থেকে যতো দিন যাবে ততোই দেশের রাজনীতি আরো ঘোলাটে হবে বলে মনে করেন দেশের সচেতন মহল।

এদিকে, সরকার যাই বলুক যুক্তরাস্ট্র সহ পশ্চিমা বিশ্ব চায় সব দলের অংশগ্রহনে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার যদি সেই ধরনের নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয় তবে তারা মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় পরবে এবং রাস্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটেরও মুখোমুখী হবে বলে এরই মাঝে মতামত ব্যাক্ত করেছেন এ দেশের বহু বিশেষজ্ঞ। তাই বিএনপির দাবি অনুযায়ী যে নামেই হোক না কেনো সরকারকে একটি নির্বাচনকালিন তদারকি সরকার গঠন করতে হবে। আর সেটা না করলে যে দেশী বিদেশী চাপ আরো অনেকটা বেড়ে যাবে এবং সেই চাপ সামলানো মোটেও সহজ হবে না সেটা জানে সরকার। তাই এখন থেকে যতো দিন যাবে ততোই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক মহল।

এদিকে, বিগত দিনে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী এই সরকারের অধিনে সব নির্বাচন বর্জন করলেও ওইসব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন। যার ফলে সরকার নির্বাচন অংশগ্রহনমূলক হয়েছে বলে দাবি করতে পেরেছে। যদিও ওই সব নির্বাচনে অংশ নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কোনো লাভ হয় নাই বা তারা জাতীয় সংসদে একটি আসনও পায় নাই। বরং সর্বশেষ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে উল্টো মার খেয়েছে চরমোনাইয়ের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা মুফতি ফয়জুল হক। মূলত তারপর থেকে নির্বাচন বয়কট করা শুরু করেছে ইসলামী আন্দোলন এবং তারা ঘোষনা দিয়েছে তারা এই সরকারের অধিনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।

আর এখনো জাতীয় পার্টি বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা সরকারের তীব্র সমালোচনা করে চলেছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি যে এই সরকারের অধিনে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে না এরই মাঝে এই কথা বলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তার নিজ দলীয় ফোরামে এমন কথা বলেছেন বলে জাতীয় সংবাদপত্রে রিপোর্ট এসেছে। ফলে এতে বেশ ভালো করেই বুঝা যাচ্ছে এখন পর্যন্ত দেশের রাজনীতিতে যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে আগামী নির্বাচনে তত্বাবদায়ক সরকারের অধিনে না হলে বড় কোনো দলই সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাই আগামী দিনে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।