স্টাফ রিপোর্টার :
ফতুল্লা থানার ইসদাইর-গাবতলী এলাকায় এক প্রকার জোর করেই প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দিয়ে গেছে ফতুল্লার বিদ্যুৎ অফিস। কিন্তু এই প্রিপেইড মিটার লাগানোর পর থেকে চরম বিপাকে পরেছে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। তাদের অভিযোগ একদিকে যেমন এসব প্রিপেইড মিটারে অতিরিক্তি বিল কাটছে অপরদিকে তেমনি টাকা শেষ হয়ে গেলে বিনা নোটিশে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। যার ফলে সীমাহীন ভোগান্তির মাঝে পরেছে এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
এ বিষয়ে ইসদাইর বাজার এলাকার মানিক হোসেন পক্কু বলেন, আমার বাসার প্রিপেইড মিটারে আমি এই মাসের ৩ তারিখে ৪৮০০ টাকা ভরেছি। কিন্তু মাত্র বারো দিনের মাথায় গত ১৪ তারিখে এই টাকা শেষ হয়ে যায় এবং বিনা নোটিশে বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে বিপাকে পরে আমি আবারও টাকা ভরি। কিন্তু আমরা এই মিটার লাগাতে চাইনি। আমাদেরকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং বলা হয় প্রচরিত মিটারের চেয়ে এই প্রিপেইড মিটার ভালো হবে সাশ্রয়ী হবে। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি আমরা প্রতারিত হয়েছি। কারন আমাদের আগের মিটার খুলে নিয়ে গেছে। তাই আমরা এর প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন গাবতলীর মিজানুর রহমান মিজান ওরঢে মক্কা মিজান। তিনিও বলেন নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার বাসায় প্রিপেইড মিটার লাগিয়েছে। আমাকে বলেছে এখন প্রিপেইড মিটার লাগালে কোনো টাকা লাগবে না। আর না লাগালে পরে মোটা অংকের টাকা দিয়ে আনতে হবে। এছাড়া প্রিপেইড মিটার না লাগালে আগামী মাস থেকে কোনো বিল দিতেও কেউ আসবে না। এভাবে প্রতারনামূলক কথা বলে আমাদের অনেকের বাড়িতে এসব মিটার লাগিয়েছে। এখন দেখছি আমরা যারা এই মিটার লাগিয়েছি তারাই নানা সমস্যার মধ্যে পরেছি। আর যারা লাগায়নি তারাই ভালো আছে। তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তাই বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে তারা যেনো নিজ দায়িত্বে এসব মিটার খুলে নিয়ে আমাদের আগের মিটার ফেরৎ দেয়। অন্যথায় আমরা বিদুৎ অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হবো।
মূলত এভাবে এখন ইসদাইর ও গাবতলী এলাকা জুরে যারা প্রিপেইড মিটার লাগিয়েছে তারা চরম ভোগান্তিতে পরেছে। যার ফলে বিক্ষুব্দ হয়ে উঠছে এসব এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।




