নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি...

আ.লীগে শামীম ওসমান একা, বিএনপির তিনজন মাঠে

75
আ.লীগে শামীম ওসমান একা, বিএনপির তিনজন মাঠে

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজঃ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগ,  বিএনপি সহ বিভিন্ন দলের মাঝে নানামুখী আলোচনা ও তৎপরতা চলছে। আওয়ামী লীগ চাইছে সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধিনে একটি নির্বাচন। বিপরীতে বিএনপি চাইছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে একটি নির্বাচন। তাই এখন কিভাবে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা ও তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

সরকার সংবিধানের আলোকে নির্বাচন করার বিষয়ে অনঢ় অবস্থানে থাকায় এরই মাঝে বিএনপি এক দফার দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে রেখেছে। তাই আগামী দিনে যেকোনো সময় হঠাৎ দেশে আন্দোলন শুরু হতে পারে বলে ধারনা অনেকের। তবে এরই মাঝে সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে দুই দলের প্রার্থীরা তৎপর রয়েছেন। তবে এই আসনে আওয়ামী লীগের একজনই প্রার্থী। তিনি হলেন, বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমান। তাই আগামী নির্বাচনেও যে তিনিই পাবেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এতে কারোই কোনো সন্দেহ নেই। আর এই আসনে শামীম ওসমানের রয়েছে বেশ পাকাপোক্ত একটি সাংগঠনিক অবস্থান। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানের যে কর্মী বাহিনী রয়েছে সেটা সারা দেশের মানুষের জানা। তাই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মাঝে শামীম ওসমানের এই কর্মী বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

বিপরীতে এই আসনে বিএনপির রয়েছে তিনজন প্রার্থী। এরা হলেন জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক ও সাবেক এমপি  মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, বিএনপি থেকে পদত্যাগী নেতা শিল্পপতি মোহাম্মদ শাহআলম এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এদের মাঝে গিয়াস উদ্দিন মাঠে রয়েছেন এবং তিনি তার নিজের মতো করে দল গুছাচ্ছেন। এরই মাঝে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি, ফতুল্লার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেছেন তিনি। কিন্তু এই দলের অপর বিত্তশালী নেতা মোহাম্মদ শাহআলমও চুপ করে বসে নেই বলে জানা গেছে। তিনিও তার সমর্থক নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখছেন। তার সমর্থক নেতা কর্মীরা মনে করেন শাহআলম টাকাওয়ালা প্রার্থী। তাই সময় মতো মোটা অংকের টাকা খরচ করে হলেও তিনি মনোনয় বাগিয়ে নেবেন।

তবে সেই ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলেই কেবল মাঠে নামবেন শাহআলম এবং তিনি এমপি নির্বাচিত হবেন বলে তার কয়েকজন অনুসারী এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। এছাড়া, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদও। মূলত বিএনপির ভেতরে তাকেই গিয়াস উদ্দিনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এর আগে তিনি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তুলনামূলক ভাবে তরুন এই নেতারও মনোনয়ন লাভের সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিএনপির অনেকে মনে করেন।

তাই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এই চার প্রার্থী থাকায় এই আসনে একক প্রার্থী হিসাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন শামীম ওসমান এমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

(J)