নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
বক্তাবলীর আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে ওই এলাকার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বক্তাবলী পরগনা তথা আলীরটেক ও বক্তাবলীর প্রত্যেকটি গ্রামের মানুষ। বক্তাবলীর বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন আলমগীর সত্যিকার অর্থেই একজন ভালো মানুষ ছিলেন। পারিবারিক ভাবে সেই শিশু কাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জরিত ছিলেন তিনি এবং তার দল ক্ষমতায় থাকার পরেও কখনো তাকে ক্ষমতার দাপট দেখাতে দেখা যায়নি।
বরাবরই তিনি ছিলেন অমায়িক একজন মানুষ। সদা হাস্যোজ্জল ছিলো তার চেহারা। আলমগীর পরিচিত যাকেই দেখতেন তাকেই হাত বাড়িয়ে দিতেন সবার আগে। কিন্তু নিজের জীবনেই তিনি কিছু করতে পারেননি। কারন তিনি জানতেন না কিভাবে অবৈধ পন্থায় টাকা উপার্জন করতে হয়। আর এই কারনেই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটি পরিচিত মুখ হয়েও তিনি অনেকটাই অর্থ কষ্টে জীবনযাপন করে গেছেন। তাই একজন ভালো মানুষ আলমগীরের মৃত্যুতে বকক্তাবলী এলাকাবাসী একজন সত্যিকারের রাজনৈতি নেতাকে হারিয়েছে বলে মনে করেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার আনুমানিক সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যু বরন করেন। তার পারিপারিক সূত্র জানিয়েছে মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিলো ৫২ বছর। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে শহরের একটি হার্ট সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যুর খবর সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে। এতে শোকে বিহবল হয়ে পরেন বক্তাবলী সহ গোটা নারায়ণগঞ্জ শহরের পরিচিত মহল। কারন ব্যাক্তিগত জীবনে আলমগীর একজন সৎ লোক ছিলেন।
তিনি ছিলেন একজন সজ্জন ব্যাক্তি। তিনি সাদা সিদে জীবনযাপন করতেন। ছাত্র জীবনে তিনি নারায়ণগঞ্জ কলেজের ভিপি ছিলেন। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে তিনি সকলের সাথে সৎভাব বজায় রাখতেন। কখনোই কারো সাথে বিরোধ করতে দেখা যায়নি আলমগীরকে। তাই তার এই অকাল মৃত্যুতে বক্তাবলী এলাকাতো বটেই নারায়ণগঞ্জ শহরেও সকলের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে।
এদিকে আলমগীরের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল এবং সাধারন সম্পাদক শওকত আলী। তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন ফতুল্লার সন্তান আলমগীর আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা গবীর শোক এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ পাক যেনো তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন এবং তার পরিবার পরিজনকে শোক সইবার ক্ষমতা দেন।
