নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন একেএম শামীম ওসমান। বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের কাছে এ মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন শামীম ওসমান। এসময় নেতাকর্মীদের ছাড়া মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এখানে অন্তত ২ হাজার নেতা আছেন যারা আমার চেয়েও যোগ্যতা সম্পন্ন। যাদের কারণে আমি শামীম ওসমান আজ এখানে আসতে পেরেছি। আমার নিজস্ব কোনো যোগ্যতা নাই। তাদেরকে আসতে বললে তাদের সাথে আবার ২০-৫০জন করে আসলে দেখা যেতো ৫০-৬০ হাজার লোক হয়ে যেতো। তখন আবার অনেকে বলতো, আমরা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম ভেঙ্গেছি। তাই আমি এই জীবনে প্রথম কাউকে ছাড়া একা মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছি। শুধুমাত্র সহায়ক হিসেবে আমার ছেলেকে সাথে নিয়ে এসেছি। এজন্য দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমাও চান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিনের মনোনয়ন ক্রয় ও প্রত্যাহারের বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, এখানে ৩টি জিনিস হতে পারে। একটি হলো, স্ট্যান্টবাজি। উনি মনোনয়নপত্র কিনে রেখে আলোচনায় আসতে চাইছেন। দ্বিতীয়টি হলো, মনোনয়নপত্র কিনে অন্য কোনো দলের সাথে যোগাযোগ করা, যদি সেই দলে ঢুকতে পারেন তাহলে সেই দল থেকে নির্বাচন করার চেষ্টা করা। এখন সেই দলে ঢুকতে না পেরে বিএনপি হয়তো তাকে বহিস্কার করবে, এই ভয়ে প্রত্যাহার করা। আরেকটি হলো, তার মতামত না নিয়ে কেউ যদি মনোনয়ন কিনে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। কেননা এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও আমরা যারা প্রার্থী আছি তারা বিব্রত হচ্ছি। কেননা, মনে হতে পারে নির্বাচন কমিশন এটা করেছে কিংবা আমরা প্রার্থীরা এটা করেছি। তাই উচিত হলো, ঐ মানুষটিকে বের করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। কোনটা সত্য এটা বের করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।