আগামী নির্বাচন নিয়ে আ.লীগের তৃনমূলের ভাবনা...

আবারও নিশ্চিৎ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শামীম ওসমান এমপি

75

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ :

ফতুল্লার রাজনীতিতে শামীম ওসমানের অনুসারীরা মনে করেন এবারও বিএনপিকে বাদ দিয়ে গত দুই নির্বাচনের মতোই একটি নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনে জয়ী হবেন শামীম ওসমান। তারা আরো মনে করেন, নির্বাচন যদি কোনো কারনে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হয় এবং সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয় তাহলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিততে পারবে না। তাই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া হলে সেটা হবে এই সরকারের জন্য আত্মহত্যার সামিল। ফলে কোনো মতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির এই অসাংবিধানিক দাবি মেনে নেবে না। তাই নির্বাচন আগের মতোই হবে। তাতে বিএনপির নির্বাচনে আসুক বা না আসুক তাতে তাদের কোনো সমস্যা নেই।

তারা জোর দিয়ে বলেন, আবারও আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে এবং শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি হবেন। গত কয়েকদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে তারা এসব কথা বলেন।

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, এটা ঠিক যে দেশে যদি কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হয় তাহলে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জিতে আসা কঠিন হবে। কিন্তু আমার ব্যাক্তিগত পযর্বেক্ষন হলো আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে না। আর বিএনপি না আসলে আওয়ামী লীগ সহজেই আবারও রাস্ট্র ক্ষমতায় চলে আসবে। কারণ বিএনপির কেয়ারটেকার সরকারের দাবি আমাদের সরকার মানবে না। আমরা চাই সংবিধান মোতাবেক একটি নির্বাচন। আর বিদেশী শক্তিগুলিও সংবিধানের বাহিরে গিয়ে কোনো নির্বাচনের কথা বলছে না। বিএনপিও বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচেন আসবে না। তাই আমরা মনে করি, এই ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারই বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।

কেননক, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিই থাকবে না। আর আমরা যতোটুকু জানি বিএনপি নির্বাচনে না এলে জামাতও সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না। ফলে খুব সহজেই বিজয়ী হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আর বিএনপি জামাত বিহীন নির্বাচনও হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। তখন বিদেশেিদরও কিছু বলার থাকবে না। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশ না নেয় তাহলে তারা পরবে মার্কিন ভিসা নীতির আওতায়। তাই আমরা মনে করি, আবার আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসছে এবং শামীম ওসমান এমপি হচ্ছেন।

এ বিষয়ে, ফতুল্লার আওয়ামী লীগ দলীয় একজন চেয়ারম্যানও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা মোটেও চিন্তিত নই। কারন নির্বাচনের আর মাত্র তিন মাস বাকী আছে। এ সময়ে বিএনপির আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কিছুই করতে পারবে না। তারা নির্বাচন বয়কট করবে। আমরা অন্যদের নিয়ে নির্বাচন করবো। নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি সহ আরো অনেক দল। আর সেই নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। ফলে আবারও খুব সহজেই ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ।

তিনি আরো বলেন, সারা দেশে প্রশাসনও সরকারের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে প্রশাসনও সরকারকে সহায়তা করবে। কেউ বিশৃঙ্খলা করে পারও পাবে না। অতএব আবারও ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি হবেন শামীম ওসমান।

তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতি আমাদের দলের মিটিংগুলিতে নেতাকর্মীদের মতামত থেকে এমন চিন্তাভাবনাই বেরিয়ে এসেছে। তারপরেও বিএনপি যদি আন্দোলনের নামে কোনো রকম বিচ্ছৃংখলা করে তাহলে আমরা তাদেরকে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।