তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে একতাবদ্ধ গোটা এলাকার মানুষ...

আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে গাবতলী এলাকায় সামাজিক অবস্থার বিরাট পরিবর্তন

221

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকাটি একটি আদর্শ সামাজিক এলাকা হিসাবে পরিচিত। ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের মাঝে ১০০% মুসলমান হওয়ায় এলাকাটি মসজিদ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত। এলাকাটিতে এক সময় সামাজিক নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রয়াত কাজী সিরাজুল হক, মির্জা শামসুল ইমাম, কাজী আমান উল্লাহ, হাজী আবদুল লতিফ, অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম প্রমুখ । গাবতলী মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি তাদেরই অন্যতম একজন। বর্তমানে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এসে মসজিদ কমিটিন হাল ধরেন। মূলত তিনি গাবতলী কেন্দ্রীয় বাইতুল মোকাদ্দাস জামে মসজিদের হাল ধরার পর থেকেই একেবারে পাল্টে যায় অত্র এলাকার চেহারা।

একজন দানবীর এবং সজ্জন ব্যাক্তি হিসাবে তার কোনো তুলনা হয় না। তিনি আসার পর থেকে ব্যাপকভাবে গোটা এলাকার উপর ইতিবাঁচক প্রভাব পরেছে। শান্তিপ্রিয় আবদুল আউয়াল গোটা এলাকার সাধারন মানুষের শ্রদ্ধার পাত্র। তাই গাবতলী এলাকার জনগন এখন তার নেতৃত্বে একতাবদ্ধ। সবাই মিলে একটি সন্ত্রাসমুক্ত আধুনিক গাবতলী গড়ে তোলায় সচেষ্ট রয়েছেন। ফলে সামাজিক ভাবে আরো বদলে গেছে ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকার চেহারা।

ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন গাবতলী এলাকায় এখন খুবই শক্তিশালী সামাজিক অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় একটি মসজিদ কমিটি এবং একটি সামাজিক সংগঠন বেশ মজবুত ভবেই তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি হলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুল আউয়াল এবং তার সঙ্গে সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী এনামুল ফেরদৌস মনা। এছাড়া এই মসজিদ কমিটিতে আরো রয়েছেন এলাকার মুরুব্বী অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবন, মেম্বার কামরুল হাসান, শিল্পপতি আবদুল মতিন, শিল্পপতি হজরত আলী, রেজাউল করিম বাদল, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, আলহাজ¦ সুরুজ্জামান সুজন, ক্যাপ্টেন সিরাজুল ইসলাম, মাস্টার হেলাল উদ্দিন গাজী, হাজী জিয়াউল হক টিটু, লিয়াকত আলী, হাফিজ বাদল, আল ইসলাম প্রমুখ।

এলাকার সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে এলাকাটি এখন গোটা নারায়ণগঞ্জ জেলার মাঝে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবেই পরিচিত। গাবতলী এলাকায় অপরাধ এখন শুন্যের কোঠায়। কোনো মারামারি হানাহানি নেই। এলাকায় কোনো মাদক ব্যবসাও নেই। নেই কোনো সন্ত্রাসীদের তৎপরতা। তাই এলাকার মানুষ এখন শান্তিতে বসবাস করছেন।

এ বিষয়ে গাবতলী সোসাইটির সাধারন সম্পাদক কাজী এনামুল ফেরদৌস মনার সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, গাবতলী এলাকাকে আমরা একটি আদর্শ এলাকা হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি ইনশাআল্লাহ। আমরা দাবি করছি যে, আমাদের এলাকাটিই নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এলাকা। আমাদের মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল আউয়াল সাহেব, গাবতলী সোসাইটির সভাপতি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবন, এলাকার মেম্বার কামরুল হাসানের নেতৃত্বে আমরা একতাবদ্ধভাবে বসবাস করছি। আমাদের অত্র এলাকায় মানসম্পন্ন স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসা রয়েছে। রয়েছে বাজার ও দোকানপাট যেখান থেকে মানুষ তাদের সকল প্রকার পন্যসামগ্রী কিনতে সক্ষম হচ্ছে। নেই কোনা সন্ত্রাস, নেই কোনো চাঁদাবাজী।

তিনি আরো বলেন, এই মুহুর্তে আমরা গাবতলী কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদটি পুন:নির্মান করছি। নির্মান করা হচ্ছে স্থায়ী একটি মাদ্রাসাও। এসব কাজ চলমান রয়েছে এবং এগুলো সম্পন্ন হলে আরো সমৃদ্ধ হবে এলাকার চেহারা। তিনি আরো বলেন, এলাকার রাস্তাঘাট এবং ড্রেনেজ সুবিধা নির্মানে স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, আমাদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান এবং মেম্বার কামরুল হাসান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমরা গাবতলীবাসী তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা আরো আগেই গাবতলী এলাকাকে একটি আদর্শ এলাকা হিসাবে ঘোষনা দিয়েছি।