নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে হ্যাট্রিক জয়ের পথে হাটছেন বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এমনটাই দাবী সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লাবাসীর। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নিজের নির্বাচনী আসনের উভয় থানা এলাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের ব্যানারে ইতিমধ্যে ২টি শান্তি মিছিল করেছেন এই সংসদ সদস্য। যেখানে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
তার নির্বাচনী এলাকার জনগন বলছে, এবারের নির্বাচনেও শামীম ওসমানকেই আমরা এমপি হিসেবে দেখতে চাই। এসময় তারা বলেন, শামীম ওসমান মানেই নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন। গত ২ মেয়াদে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জের আনাচে-কানাচে যে পরিমাণ কাজ ও উন্নয়ন হয়েছে তা স্বাধীণতা পরবর্তী সময়ের সর্বোচ্চ উন্নয়ন বলে দাবি তাদের। সরেজমিনে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে এমনটাই জানা যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ২০১৪ সালে শামীম ওসমান দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় এমপি হওয়ার পর থেকে পাল্টে গেছে আমাদের জীবনমান। রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্টসহ যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে ডিএনডি এলাকার আওতাভুক্ত হওয়ায় বর্ষাকালে আমরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতাম। কিন্তু এমপি সাহেব পানিমন্ত্রীকে সরেজমিনে এনে ডিএনডি প্রকল্প পরিদর্শন করান। পরবর্তীতে শামীম ওসমানের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১১’শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বর্তমানে আমরা এর সুফল ভোগ করছি। পুরো কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে এই অঞ্চলের চেহারা।
জালকুড়ি এলাকার বাসিন্দা আলামিন বলেন, রাজধানীর ঢাকার সাথে নারায়ণগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে শামীম ওসমানের কারনেই। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডটি ইতিমধ্যেই ৮ লেনে উন্নীতকরণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। চাষাড়ার দিকে কিছু কাজ বাকী আছে, যা সম্পন্ন হলে মাত্র ৭/৮ মিনিটে চাষাড়া থেকে সাইনবোর্ডে আসা-যাওয়া করা যাবে। এসব সম্ভব শুধুমাত্র শামীম ওসমানের কারণে। তার মতো এমপি পেয়ে আমরা ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জবাসী অত্যন্ত গর্বিত। আগামী নির্বাচনেও শামীম ওসমানকেই এমপি হিসেবে পেতে চান বলেও জানান তিনি।
ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখানে কোনো গ্রামের রাস্তা-ঘাট কাচা নেই। আগে যেখানে অধিকাংশ রাস্তাই ছিলো কাদা মাটির। এখন সেখানে আরসিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করে এলাকাবাসী বলে, নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত হলেও আগে আমাদেরকে মফস্বল হিসেবেই চিনতো অনেকে। কিন্তু শামীম ওসমান সাহেব এমপি হওয়ার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে আমাদের পরিচিতি। যোগাযোগ ব্যবস্থার এতো উন্নয়ন তিনি করেছেন যে, বর্তমানে শহর থেকে অনেকে এখানে এসে দ্বিধায় পড়ে যায়। কেননা, আগের সেই কাদামাটি ভরা রাস্তা এখন বক্তাবলীর কোথাও নেই। সব জায়গায় পাকা রাস্তা।
ফতুল্লা ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, আগে বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে দিন কাটতো আমাদের। কিন্তু ডিএনডি প্রকল্প ও এমপি সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকি। বর্ষার দিনেও পানি না জমায় এখন কোনো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের শামীম ওসমানের বিকল্প নেই কেউ। আসনটিতে এখনো শক্ত হাতে হাল ধরার মতো তৈরি হয় নি কেউ। তাই আগামী নির্বাচনেও অনেকটা হেসে খেলে জয়ী হতে যাচ্ছেন শামীম ওসমান, এমনটাই ধারণা তাদের।
এদিকে, শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, শামীম ওসমান এমপি হওয়ার পর থেকেই জনগনের উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে সর্বক্ষেত্রে সমান ভুমিকা রাখতে পারেননি। তবে, এবারের নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হলে পরবর্তী মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিজের অপূর্ণ কাজগুলো শতভাগ সম্পন্ন করতে পারবেন বলে দাবি তাদের।