শান্তিতে থাকতে লিয়াকত হোসেন খোকার বিকল্প নেই বলে মনে করে মানুষ...

সোনারগাঁয়ে ১০ বছর পর আবারও ত্রাসের আতংকে জনগন

116

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে এবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কায়সার হাসনাত। ফলে নারায়ণগঞ্জের একমাত্র এই আসনটিতে জমে উঠেছে নির্বাচনী লড়াই। কারন এই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই প্রার্থীই আসনটিতে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এদের মাঝে লিয়াকত হোসেন খোকা বর্তমান এমপি গত দশ বছর ধরে এখানে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর আগে পাঁচ বছর ছিলেন কায়সার হাসনাত। তাই সোনারগাঁয়ের মানুষ বেশ ভালো করেই জানেন তারা এমপি হিসাবে কে কেমন করেছেন।

সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা মনে করেন একজন এমপি হিসাবে কায়সার হাসনাতের তুলনায় অনেক ভালো করেছেন লিয়াকত হোসেন খোকা। কারন কায়সারের সময়ে এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়েছিলো। সন্ত্রাস আর দূর্ণীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিলো কায়সারের সময়ে। এমনকি যেকোনো উন্নয়ন কাজ সহ বিভিন্ন কাজে কায়সারের স্ত্রীকে টাকা না দিলে কোনো কাজ হতো না বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁয়ের সাধারন মানুষ। এছাড়া মেঘনায় বালু উত্তোলন নিয়ে ওই সময় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে এবং খুনের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে সোনারগাঁবাসী মনে করেন আবারও যদি কায়সার হাসনাত নির্বাচিত হন তাহলে আগের মতোই নতুন করে ছড়িয়ে পড়বে সন্ত্রাস।

বিপরীতে লিয়াকত হোসেন খোকা গত দশ বছর কোনো রকম সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেননি। যার ফলে সোনারগাঁয়ের সাধারন মানুষ বেশ শান্তিতেই ছিলেন। এছাড়া গত দশ বছর লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। গ্রামেগঞ্জে এমন কোনো রাস্তা নেই যা তিনি করেননি। গোটা সোনারগাঁ এলাকায় তিনি রাস্তা ও ব্রিজ কালভার্ট সহ সব ধরনের উন্নয়নে নিয়োজিত ছিলেন। ফলে জাতীয় এবং স্থানীয় গণমাধ্যমগুলিতেও খোকা এমপি কোনো রকম সন্ত্রাস বা দূর্ণীতি করেছেন এমন কোনো রিপোর্ট প্রকাশ হয় নাই। তাই সোনারগাঁয়ের সাধারন মানুষ বেশ শান্তিতে ছিলেন। যার ফলে বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষ মনে করেন গোটা সোনারগাঁ উপজেলাকে শান্তপূর্ণ রাখার জন্য আবারও লিয়াকত হোসেন খোকার কোনো বিকল্প নেই।

তাদের মতে, কায়সার হাসনাত আবারও সুযোগ পেলে নতুন করে শুরু হবে বেপরোয়া সন্ত্রাস। যার ফলে এলাকার শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে সাধারন ভোটাররা এবার লিয়াকত হোসেন খোকাকেই বেঁছে নেবেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার ভোটাররা। এলাকার সাধারন মানুষের পরিস্কার বক্তব্য হলো তারা শান্তিতে বসবাস করতে চান কোনো রকম সন্ত্রাস চান না। এছাড়া লিয়াকত হোসেন খোকা যে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য তাকেই ভোট দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সাধারন ভোটারদের অনেকে জানিয়েছেন।