নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও মুক্তারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেনকে একজন প্রতারক ও ভূমিদস্যু বলে অভিহিত করেছেন বর্তমান মেম্বারবৃন্দ।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের মন্ডলপাড়াস্থ জাকির হোসেন চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তারা।
এর আগে সকালে মুক্তারকান্দি বারেক মিয়ার বাড়ি হতে আলীরটেক মহিলা মাদ্রাাসা পর্যন্ত রাস্তা ও সরকারি গাছ দখল করে ইকবাল মেম্বারের দেয়াল নির্মাণ করার স্থান সাংবাদিকদের দেখান এলাকাবাসী।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহীন রাজু বলেন, ২০১১ সালে আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর ২০১২ সালে জনগনের চলাচলের কথা বিবেচনা করে বারেক মিয়ার বাড়ি হতে আলীরটেক মহিলা মাদ্রাসা পর্যন্ত ২০ ফুট প্রশস্ত মাটির রাস্তা তৈরী করেন।
২০২১ সালে ২য় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর তার প্রথম শাসনামলে করা রাস্তাগুলো আরসিসি ঢালাই করার সিদ্ধান্ত নেন। সে মোতাবেক সম্প্রতি বারেক মিয়ার বাড়ি হতে আলীরটেক মহিলা মাদ্রাসা পর্যন্ত ৩৫শ ফুট দীর্ঘ রাস্তা আরসিসি ঢালাইয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। তার আগে জমির মালিকদের স্বস্ব উদ্যোগে দখল করা রাস্তা ছেড়ে দিতে পরিষদের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। এতে বাঁধ সাধেন ইকবাল মেম্বার।
তিনি সরকারী রাস্তা ও গাছ দখল করে ৩/৪ ফুট রাস্তার ভিতরে আট থেকে নয় মাস আগে দেয়াল নির্মাণ করেন। উক্ত রাস্তা নিজস্ব দাবী করে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন সহ মেম্বারদের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য ও তার জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ করেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো, ২০১২ সালে যখন রাস্তা নির্মাণ করা হয় তখন ইকবাল হোসেন আমাদের সাথে ছিল। জমির মালিক ছিল আরেক জন। ২ বছর আগে ইকবাল জমি কিনে বালু ভরাট করে। এখন উক্ত সড়কের জমি ও গাছ দখল করতে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে সংবাদ সম্মেলন করে। তার কারনে আমরা ১৩ ফুট ২ ইঞ্জি রাস্তা ঢালাই করেছি। উভয় পাশ্বে ৩ ফুট করে ফুটপাট নির্মান করবো মানুষের চলাচলের জন্য। বসতবাড়ি হলে পরে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করবো।
৭নং ওয়ার্ড মেম্বার ওহাব সরকার বলেন,ইকবাল হোসেন মেম্বার একজন প্রতারক ও ভূমিদস্যু। এলাকার বারেকের জমি দখল করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি থাকে মানুষকে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে সাংবাদিকরা ইকবালের দখলে রাখা গাছ ও রাস্তা পরিদর্শন করেন। এলাকাবাসী ইকবালের দখলে রাখা রাস্তা ও গাছ দেখান। যেখানে সরকারী ভাবে রোপন করা গাছ রয়েছে ইকবালের নির্মান করা দেয়ালের ৩ ফুট ভিতরে। পশ্চিম অংশ দখল করে দেয়াল নির্মাণ করেছেন আরেক ব্যক্তি। তিনি সময়মতো ভেঙে দিবেন বলে জানান।
সাংবাদিক সম্মেলন করে ইকবাল মেম্বার তার জমি দখলের যে অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান বা মেম্বারদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের খুঁটি বা বেড়াঁ দেয়ার প্রমান পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী জানান, ইকবাল মেম্বার গায়ের জোরে একটি কুচক্রী মহলের ছত্রছায়ায় সরকারী গাছ ও রাস্তা দখল করার হীন উদ্দেশ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান সহ সকল মেম্বারদের বিরুদ্ধে গনমাধ্যমে মিথ্যা, আজগুবি গল্প বলে বেড়াচ্ছে। চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন সাহেব আলীরটেকে এক শতাংশ জমিও কিনেন নাই। তার জন্য নয়, এলাকাবাসীর সার্বিক উন্নয়নে তিনি রাস্তাঘাট নির্মান করছেন। চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ না করলে মানহানি মামলা করা হবে বলেও জানান তারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাহীন রাজু মেম্বার,আব্দুল ওয়াহাব মেম্বার, আব্দুল মান্নান মেম্বার, ফিরোজ মিয়া মেম্বার, মোক্তার হোসেন মেম্বার, সদর থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সহ এলাকাবাসী।