ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুকের বক্তব্যের জবাবে এড. সাখাওয়াত...

সরকার যতো বাধা দেবে বিএনপির কর্মসূচিতে লোক ততো বাড়বে

154
সরকার যতো বাধা দেবে বিএনপির কর্মসূচিতে লোক ততো বাড়বে

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

গতকাল নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতংকিত সরকার আবারও এ দেশের জনগনের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসে বিএনপির সমাবেশ মানেই হলো লাখ লাখ জনতার সমাবেশ যা কিনা কোটি জনতার সমাবেশে রূপ নিতে শুরু করেছে এবং গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে এই অবৈধ স্বৈরাচার সরকারের বিদায় ঘটানোর জন্য দেশের সাধারন মানুষ মাঠে নেমে এসেছে। তাই ভয় পেয়ে সরকার আবারও সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার চেষ্টা করছে, যা কিনা সম্পূর্ণ বেআইনী। সরকার ডিএমপি কমিশনারকে দিয়ে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বক্তব্য দেওয়ানোর মধ্য দিয়ে এই অবৈধ ফ্যাসিষ্ট সরকারের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পেয়েছে। প্রমান হয়েছে এই সরকারের পাশে এখন আর সাধারন মানুষ নেই। তাই সরকার সভা-সমাবেশকেও ভয় পাচ্ছে।

কিন্তু আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই এসব করে এবার আর পার পওয়া যাবে না। মহান স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় বারের মতো এ দেশের মানুষ তাদের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য মাঠে নেমে এসেছে। তাই সারকার সভা-সমাবেশ বন্ধ করলে মানুষ আরো কঠোর কর্মসূচির পথ বেঁেছ নেবে। আর জনগন যখন তাদের অধিকার আদায় করার জন্য সোচ্চার হয়ে উঠে তখন আর তাদেরকে দাবিয়ে রাখা যায় না। আমরা মনে করি সরকার এই স্বৈরাতান্ত্রিক পথ থেকে সরে আসবে এবং দেশের গণমানুষের সকল প্রকারের অধিকার ফিরিয়ে দেবে। অন্যথায় দেশে গণঅভ্যুথ্যান হবে এবং সরকারকে চরম পরিনতি ভোগ করতে হবে। গতকাল তিনি নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজের এ প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার যতো বাধা দেবে বিএনপির কর্মসূচিতে লোক ততো বাড়বে।

প্রসঙ্গত ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, মানুষকে কষ্ট না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ করা উচিত। ভবিষ্যতে হয়তো এমন সময় আসবে যে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে এসব কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা লাগতে পারে।

গতকাল বুধবার সকালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানের সামনে ২৯ জুলাই পবিত্র আশুরার নিরাপত্তা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ বিফ্রিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সমাবেশের অনুমতি দেব। রাজনৈতিক সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও ঢাকা মহানগর পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য।’

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আরো বলেন, ‘আমি সব রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব, কর্মদিবসে (ওয়ার্কিং ডেতে) সমাবেশ করা মানে রাজধানী অচল করে দেওয়া, লাখ লাখ মানুষকে রাস্তায় যানজটের মধ্যে আটকে রাখা। এসব বিষয় মাথায় রেখে তারা যেন কর্মপরিকল্পনায় পরিবর্তন (চেঞ্জ) এনে বন্ধের দিনে নিয়ে যান।’

খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সমাবেশস্থলে যাঁরা আসবেন, তাঁরা কোনোভাবেই লাঠিসোঁটা ও ব্যাগ নিয়ে যেন না আসেন। এতে বিস্ফোরক থাকতে পারে, (সাবোটাজ) নাশকতা হতে পারে। নিরাপত্তার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব, আপনারা জনগণকে কষ্ট না দিয়ে সমাবেশ করুন।’

মূলত তার এমন বক্তব্যের পর থেকেই সোস্যাল মিডিয়ায় নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। অনেকে প্রশ্ন তোলেন তাহলে কি সরকার এবার মানুষের সভা-সমাবেশের অধিকারও বন্ধ করবে? কিন্তু সারা দেশে মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার তথা ভোটের অধিকার ফিরে পাবার জন্য যেভাবে মাঠে নেমেছে তাতে সভা সমাবেশ বন্ধ করে দিলে পরিস্থিতি কোনদিকে গড়াবে। তখন বিএনপি সহ বিরোধী দলগুলি কি করবে। দেশ কি তাহলে আবারও হরতাল অবরোধের দিকে যাবে?