ঘনিয়ে আসছে জাতীয় নির্বাচন ...

লড়াইয়ে প্রস্তুত শামীম-গিয়াস অনুসারীরা

197
না.গঞ্জ-৪ আসনে শামীম ও গিয়াস অনুসারীদের লড়াইয়ের প্রস্তুতি

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

কেমন হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন? আসন্ন এই নির্বাচনে কি বিএনপি অংশগ্রহন করবে? সব দলের অংশগ্রহনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কারা পাবেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন? এসব নিয়ে এরই মাঝে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা বিচার-বিশ্লেষন।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী নেতাকর্মীরা পরিস্কার জানিয়েছেন আগামী নির্বাচনে এই আসনে গিয়াস উদ্দিন বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন। তার মনোনয়ন ঠেকাতেই তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। এই সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যের একটি জায়গায় বলা হয়েছে, “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে গিয়াস উদ্দিনকে বঞ্চিত করা হয়েছিলো। শুরুর দিকে নমিনেশনটা পেয়েছিলেন শাহআলম সাহেব। কিন্তু তিনি শামীম ওসমান সাহেবের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন না। তাই নমিনেশনটা গ্রহন করেননি। পরবর্তীতে সেই নমিনেশন দেয়া হলো মনির কাশেমী সাহেবকে। অথচ নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে তিনি পালিয়ে যান। আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন, মনির কাশেমীর স্থলে যদি শামীম ওসমান সাহেবের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন সাহেব হতেন, তাহলে নির্বাচনটা কেমন হতো? ভোটের মাঠ ছেড়ে কি গিয়াস উদ্দিন সাহেব পালিয়ে যেতেন?”

ফলে এই সংবাদ সম্মেলনের পর বিষয়টি পরিস্কার হওয়ায় এবার আগে থেকেই সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আটঘাট বেধে মাঠে নেমে পড়েছেন বলে দাবি তার ঘনিষ্ঠদের। যদিও তার নিজ দল বিএনপির ভেতরেই একটি গ্রুপ তাকে ঠেকাতে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলেও দাবি তার অনুসারীদের।

তবে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহল মনে করে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি জনমত জরিপ চালিয়ে এবং ভালো মতো খোঁজ খবর নিয়ে নমিনেশন দেয় তাহলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে গিয়াস উদ্দিনই পাবেন বিএনপির মনোনয়ন। আর সেই ক্ষেত্রে যদি শামীম ওসমান আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তাহলে দু’জনার মাঝে তীব্র লড়াইয়ে জমে উঠবে নির্বাচনী খেলা।

সচেতন মহলের মতে, বিএনপির রাজনীতিতে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে নানা ভাবে কোনঠাসা করে রাখা হলেও তিনি বেশ দৃঢ় মানসিকতার একজন ঝানু রাজনীতিবীদ। হাজারো জুলুম নির্যাতনের পরেও মাঠ ছাড়েননি তিনি। তার পেছনে বিএনপির একটি বড় অংশের নেতা কর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন বলেও জানা গেছে।

অপরদিকে, তার বিপরিতে সরকার দলীয় এমপি একেএম শামীম ওসমানও সারা বাংলাদেশে একজন পরিচিত রাজনীতিবীদ। এই আসনের রাজনীতিতে তার একটি পৃথক অবস্থানও রয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় তার বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে। তাই এই আসনে শামীম ওসমান বরারবরই একজন শক্ত প্রার্থী হিসাবে বিবেচিত। ফলে এখানে যদি গিয়াস উদ্দিন বিএনপির আর শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তাহলে লড়াই বেশ জমে উঠবে বলেই মনে করেন নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সচেতন মহল। ফলে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে কি ঘটে সেদিকেই এখন দেশবাসীর নজর।