নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে নগরীর বাধন কমিউনিটি সেন্টারে চেম্বারের ৩৬ ও ৩৭ তম এজিএম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুজ্জামান।
সভায় সকল ব্যবসায়ীদের সর্বসম্মতিক্রমে ২০২২-২০২৩ এবং ২০২৩-২০২৪ সালের প্রতিবেদন উত্থাপন ও অনুমোদন এবং (২০২৪-২০২৫) অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন ও অনুমোদন করানো হয়। সভার শুরুতে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি লিখিত প্রতিবেদন পাঠ করেন। পরে ব্যবসায়ীদের সম্মতিতে এনসিসিআইয়ের ২০২৪-২০২৫ সনের নিরীক্ষক নিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারন করা হয়।
সভায় সভাপতি মাসুদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সঠিক ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের সদস্য নির্বাচিত করবেন। আমি যখন দ্বায়িত্ব নেই তখন একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম, যেখানে আমার কিছু শুভাকাঙ্খী উপস্থিত ছিল। তারা বলেছিল, অনেকদিন পর একজন ভালো লোক চেম্বারের দ্বায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু আমি বলেছিলাম কিছুদিন অপেক্ষা করেন, বিরোধিতা শুরু হয়ে যাবে। সেই বিরোধিতা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এই সংগঠন আপনার আমার সকলের। আমি যখন এখানে দ্বায়িত্ব নিতে আসি তখন আমি জেনেশুনে এসেছিলাম যে, নির্বাচনের আর মাত্র চার মাস বাকী। আমি চার মাসের দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের সকলের ইচ্ছা ছিল একটি সঠিক নির্বাচন নারায়ণগঞ্জবাসীকে উপহার দেওয়া। কিন্তু আপনাদের কি এই চার মাসও সহ্য হলো না ? তবে যে আলোচনা বা সমালোচনার জায়গা সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে আমি সাধুবাদ জানাই। তবে যে যাই করেন গঠনমূলকভাবেই করেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। আমার এই সাদা শার্টে কালি মাখানোর জন্য এখানে আসিনি। আমি এই সংগঠনে থাকাকালীন অবস্থায় কোন জায়গায় একটি দুর্নীতি-অনিয়ম সহ্য করব না। আমি দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমেই দেখতে চেয়েছিলাম একাউন্টের অবস্থা কেমন। যারা পরিষদের দ্বায়িত্বে আছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই কারন তারা তাদের দ্বায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করেছেন। তবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে যাতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ না পরে তাই চাঁদা কম রাখা হয়। সংগঠন আমাদের সকলের, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনকে রক্ষা করতে হবে।
সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল বলেন, আমরা ১০০০ জনকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কারো কারো অ্যাড্রেস চেঞ্জ হওয়ার কারনে অনেকের কাছে চিঠি পৌছায়নি। কেউ যদি একটিভ মেম্বার না থাকে সে কিন্তু এই দাওয়াত পাবে না। এটা আমাদের নয় সকল ব্যবসায়িক সংগঠনে একই ধরনের নিয়ম। এ মাসের ৩ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সাথে মেইল করেও জানানো হয়েছে। তবে এই ২০-২৫ দিনের মধ্যে যারা রিনিউ করা হয়েছে তারা কিন্তু চিঠি পায়নি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যারা মেম্বারশিপ রিনিউ করেছেন, আমরা সাথে সাথে তাকেও দাওয়াত দিয়ে দিয়েছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি সোহেল আক্তার সোহান, পরিচালক জাকারিয়া ওয়াহিদ, মাহাবুবুর রহমান স্বপন, আশিকুর রহমান, সেলিম হোসেন, সাইফুল ইসলাম মাসুমসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ।