মানুষ নির্বাচনমুখী, তারা কোনো হরতাল অবরোধ চায় না...

বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে প্রতিরোধ করছে জনগন

51
নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

বিএনপির হরতাল-অবরোধের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাবু চন্দনশীল এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাবু চন্দনশীল বলেন, বিএনপি কখনোই গণমানুষের দল ছিলো না। জ¦ালাও পোড়াও আর মানুষ হত্যাই তাদের আন্দোলনের মূল মন্ত্র। তাই এই দলটি দেশের জনগনের কাছে একটি সন্ত্রাসী দল এবং জনগনের অধিকারের বিপক্ষের একটি দল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীল আরো বলেন, আপনারা সকলেই দেখেছেন বিএনপির হরতাল অবরোধে জনগনের কোন সাড়া নেই। জীবন যাত্রা একেবারেই স্বাভাবিক। রাস্তায় প্রতি দিনের মতোই সকল প্রকারের যানবাহন চলছে। তবে এই ধরনের অযৌক্তিক হরতাল অবরোধ ডাকার কারনে বিএনপির উপর সাধারন মানুষ চরম ভাবে ক্ষুব্দ ও বিরক্ত হয়েছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আতংকগ্রস্থ হয়েছে। কারণ, আপনারা দেখেছেন হরতাল অবরোধ ডেকে বিএনপি সারা দেশে কিভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিএনপির সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করছে, বাসে আগুন দিচ্ছে, রাজপথে তান্ডব চালাচ্ছে। আর এসব করে ওরা জনমনে ভীতির সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। কিন্তু তাতে ওরা সফল হতে পারছে না। আমরা তথা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এবং আইনশৃংখলা বাহিনী সারা দেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। আর জনগন আমাদের পাশে, মাননীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান গোটা পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখছেন। আমরা তার নেতৃত্বে জনগনের পাশে রয়েছি। আমরা কোনো মতেই বিএনপিকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে দিতে রাজী নই। তাই আমি পরিস্কার ভাবে বলতে চাই বিএনপির হরতাল ও অবরোধের নামে তারা সারা দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাইলেও আমরা জনগনের পাশে অতন্দ্র প্রহরীর মতো ছিলাম এবং আগামী দিনেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। অতীতে যেমন বিএনপি নির্বাচনী ট্রেন ফেইল করেছিলো এবারও তারা ফেইল করবে। সময় মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং দেশের জনগন স্বতস্ফ’র্ত ভাবে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে। আমরা আছি জনগের পাশে।

অপরদিকে, এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল বলেছেন, বিএনপি গত ২০১৪ সালে যেভাবে নির্বাচনে না গিয়ে সারা দেশে জ¦ালাও পোড়াও করে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছিলো এবারও গত ২৮ অক্টোবর তারা আরো বেশি বর্বর তান্ডব চালালো। আপনারা সকলেই সেটা দেখেছেন। ওরা পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। আগুন দিয়ে বাস পুরিয়েছে। এমন তান্ডব চালানোর পর ওদের নিন্দা করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তবে মোদ্দা কথা হলো মানুষ বিএনপির এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে তাদের উপর ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে। আমি পথে পথে হেটে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলেছি। বিভিন্ন দোকানপাটে গিয়ে কথা বলেছি। তাদের একটাই কথা আমরা শান্তি চাই কোনো অবরোধ চাই না। মানুষ এখন নির্বাচন মুখী, তারা শান্তির কথা বলে আর উন্নয়নের কথা বলে। মানুষ প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উন্নয়নে খুশী। তাই তারা মনে করে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই বিএনপি সন্ত্রাসের পথ বেঁছে নিয়েছে। তাই আমরা পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই আমরা মানুষের পাশে রয়েছি। জনগনের কোনো ভয় নেই। আমরা সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহর দিবো ইনশাআল্লাহ।