নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন বলেছেন, আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এবার ফতুল্লার জলাবদ্ধতা নিয়ে এতোটাই চিন্তিত যে তিনি আকাশে মেঘ দেখলেই ভয় পান। বার বার আমাদেরকে বলছেন এবার যেনো ফতুল্লায় কোনো জলাবদ্ধতা না হয়। তাই আমরা জলাবদ্ধতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছি।
শনিবার দুপুরে ফতুল্লা ইউনিয়নের টাগারের পাড় এলাকায় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং জনসাধারনের সাথে মত বিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
স্বপন বলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। কিভাবে এলাকাকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখা যায় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। মাননীয় এমপি দেশে ফিরলেই আমরা তার সাথে সাক্ষাৎ করবো এবং সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন, ফতুল্লা ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল আউয়াল এবং ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাজী মঈনুদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এ এলাকায় সারা বছর জলাবদ্ধতার কথা জানানো হয়। এসময় তারা বলেন, কোনো বৃষ্টি বা বর্ষা কালের প্রয়োজন হয় না, সারা বছরই টাগারের পাড় এলাকা পয়:নিস্কাশনের পানিতে ডুবে থাকে। তারা আরো জানান, পানি সরে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাড়িঘর, মিল-কারখানার পানি এসে রাস্তা ডুবে যায়। ফলে এলাকায় কোনো ভাড়াটিয়া থাকতে চায় না। বিভিন্ন মিল কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক নিদারুন কষ্টের মাঝে দিন কাটাচ্ছে বলেও জানান তারা।
তারা আরও বলেন, আর কিছুদিন পর বর্ষা শুরু হলেতো রাস্তায় হাটুর উপরে পানি জমে থাকবে। টানা চার মাস থাকবে এই অবস্থা। তাই এই ভয়াবহ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং উপস্থিত নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। তাদের বক্তব্য অনুধাবন করে উপস্থিত চেয়ারম্যান, দুইজন মেম্বার এবং সরকার দলীয় দুই নেতা বিষয়টি আন্তরিক ভাবে দেখবেন বলে তাদের বক্তব্যে আশ^স্ত করেন।
প্রসঙ্গত গতকাল দুপুরে এই মতবিনিময় সভা চলাকালেও ওই এলাকার রাস্তায় জলাবদ্ধতা ছিলো। ড্রেনের পানিতে ডুবে ছিলো এলাকার রাস্তাঘাট।