প্রিপেইড মিটার না লাগানোর কারনে ভয়ভীতি প্রদর্শন...

ফতুল্লার ইসদাইর-গাবতলী এলাকায় বিদ্যুতের ভুতুরে বিল

268

স্টাফ রিপোর্টার :
ফতুল্লা থানার ইসদাইর ও গাবতরী এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভুতুরে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে ডিপিডিসির স্থানীয় কতৃপক্ষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেছে ওইসব এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। গত কয়েকদিনে এ ব্যাপারে বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রাহকরা জানিয়েছে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পরেছেন। কোনো মাসে তাদের কারো কারো বিদ্যুৎ বিল ধারাবাহিক ভাবে হাজার/বারোশ টাকা করে আসলেও হঠাৎ এই বিল বেড়ে দশ/বারো হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। গাবতলী এলাকার একজন গ্রাহক জানিয়েছেন গত জুলাই এবং অগাষ্ট মাসে তার বিদ্যুৎ বিল কমবেশি পাঁচ হাজার টাকা করে এসেছে কিন্তু হঠাৎ অগাষ্ট মাসে তার বিল এসেছে বারো হাজার টাকা। এই ব্যাপারে তিনি বিদ্যুৎ অফিসে টেলিফোন করে মিটার রিডার কামাল উদ্দিনকে টেলিফোন করে জানতে চাইলে কামাল উদ্দিন বলেন বিল যদি বেশি আস তাহলে পরের মাসে তিনি সেটা ঠিক করে দেবেন। তিনি তার সাথে পঞ্চবটি বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন। মূলত এভাবেই প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরকে চরম ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। একই রকম অভিযোগ করেছেন ওই এলাকাকার মামুন মিয়া, ইসদাইর এলাকার সুরমা সেলিম, কাজী এনামুল সহ আরো অনেকে। এছাড়া সোস্যাল মিডিয়ায় তথা ফেসবুকে গ্রাহকরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে পোষ্ট দিচ্ছে।
এদিকে এ বিষয়ে ওই এলাকার গ্রাহকরা আরো জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাদেরকে প্রেপেইড মিটার লাগানোর জন্য প্রবল চাপ প্রয়োগ করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে প্রিপেইড মিটার না লাগালে পরে জরিমানা করা হবে এবং প্রচলিত নিয়মে কোনো বিল আসবে না। তাই এলাকাবাসী ধারনা করছেন তারা প্রিপেইড মিটার না লাগানোর কারনেই এভাবে ভুতুরে বিল দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এলাকাবাসী আরো জানিয়েছেন তারা মনে করেন এই সময়ে দেশে কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই। তাই কারা এসে কেনো এভাবে প্রিপেইড মিটার লাগানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সেটা বুঝা যাচ্ছে না। তাই তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকার যদি কোনো নিয়ম করে তাহলে তারা প্রিপেইড মিটার লাগাবেন বলে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানিয়ে এসেছেন। অথচ তারপরেও গ্রাহকদের নানা ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে বলে তারা অবিযোগ করেন। ##