সর্ব শক্তি নিয়োগ করেছি, সকলের সহযোগীতা চাই, একান্ত সাক্ষাতে ফতুল্লা ওসি...

পাড়া মহল্লার জুয়ার আড্ডাগুলিই কিশোর গ্যাং আর মাদকের আস্তানা

142
পাড়া মহল্লার জুয়ার আড্ডাগুলিই কিশোর গ্যাং আর মাদকের আস্তানা

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেছেন, ফতুল্লা থানায় যোগ দেয়ার আগেই আমি এই থানার সার্বিক অপরাধ চিত্র সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে এসেছি। এই থানা এলাকাটি একটি শিল্পসমৃদ্ধ ঘনবসতপিূর্ণ এলাকা হিসাবে পরিচিত। এখানে এমন কোনো অপরাধী চক্র নেই যাদের তৎপরতা নেই।

তবে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলো কিশোর গ্যাং আর মাদক ব্যবসায়ীরা। এই থানায় খুন ধর্ষন চাঁদাবাজী সহ সব ধরনের অপরাধের পেছনে রয়েছে এই কিশোর গ্যাং আর মাদক ব্যাবসায়ীরা। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েই এসেছি যে যেকোনো মূল্যে আমি ফতুল্লা থেকে এই কিশোর গ্যাং আর মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করব ইনশাআল্লাহ। সেই লক্ষ্যে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, বাকিটা বিচারের ভার ফতুল্লাবাসীর।

তিনি বলেন, আপনারাই উপলব্দি করতে পারবেন আমি কতোটুকু কি করতে পেরেছি। এরই মাঝে খুনের ঘটনাও কমে এসেছে। আশা করি আগামী দিনে সব ধরনের অপরাধ আরো কমবে। গতকাল নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ফতুল্লা থানা এলাকার বিশালতা এবং এখানে যে পরিমান লোক বাস করে সেই তুলনায় আমাদের লোকবলের অভাব রয়েছে এবং লজিস্টিক সাপোর্টেরও অভাব রয়েছে। অনেক সময় জরুরী অভিযোগ পেলে সিএনজি ও মোটর সাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরী হয়ে যায়। কারণ রাস্তায় অধিকাংশ সময় যানজট লেগে থাকে। তাই থানা পুলিশকে যানজট নিরসনেও হিমশিম খেতে হয়।

ফতুল্লা থানার বিশালতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এই থানার দক্ষিন পশ্চিমে রয়েছে সিরাজদিখান থানা, দক্ষিনে এবং পূর্বে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা, পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, উত্তরে ডেমরা ও কদমতলি থানা এবং উত্তর পশ্চিমে রয়েছে কেরানীগঞ্জ থানা। এ থানায় স্থানীয় এবং ভাসমান মিলে অন্তত বিশ লাখ লোক বাস করেন।

এছাড়া তিনি বলেন, এলাকাটি শিল্প এলাকা হওয়ায় এখানে ভাসমান লোক বেশি বাস করেন। ফলে অপরাধীর সংখ্যাও বেশি। আর এসব কিছু মাথায় রেখেই আমরা রাতদিন কাজ করে চলেছি। এরই মাঝে আমি আসার পর শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছি। আপনারা জানেন ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার আড্ডা বসতো। লুডু, কেরাম বোর্ড এবং তাস খেলার মাধ্যমে জুয়া খেলা হতো। আর এসব জুয়ার আড্ডাগুলি মাদকেরও আড্ডা। তাই আমি ফতুল্লার কোথাও জুয়ার আড্ডা বসতে দিচ্ছি না। অভিযোগ পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে এ্যাকশান নিচ্ছি এবং কারা এসব জুয়া খেলা, মাদক ব্যবসা এবং কিশোর গ্যাং এর নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে গ্রেফতাওে অভিযান পরিচালনা করছি।

এরই মাঝে অপরাধের মাত্রা অনেকটাই কমে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনে অপরাধ আরো কমে আসবে ইনশাআল্লাহ। আমি ফতুল্লাবাসী সকলের সহযোগীতা চাই।