বাড়ছে অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের সম্ভাবনা...

পাঁচটি আসনে কারা চাইবেন বিএনপির মনোনয়ন?

230
পাঁচটি আসনে কারা চাইবেন বিএনপির মনোনয়ন?

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘুরতে শুরু করেছে দেশের রাজনৈতিক হাওয়া। বাড়ছে সব দলের অংশগ্রহনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা। যদি দেশে একটি অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন হয় তাহলে কারা হবেন নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে বিএনপির প্রার্থী এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনে?

নেতাকর্মীদের মতে, পাঁচটি আসনে যারা বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন এবং মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাও যাদের বেশি, তাদের মাঝে একমাত্র নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি এডভোকেট আবুল কালাম আছেন মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশী তেমন কাউকে বিএনপির নেতৃত্বে দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচনী আসনের মাঝে বিএনপির সাবেক চার এমপি এখনো জীবিত এবং জনগনের মাঝে তাদের জনপ্রিয়তাও রয়েছে আগের মতোই দাবী সমর্থকদের। এ চারজন হলেন সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপি অধ্যাপক রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ সদরের সাবেক এমপি এডভোকেট আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং আড়াইহাজারের সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর।

তবে সাবেক এই এমপিদের মাঝে একমাত্র এডভোকেট আবুল কালাম মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে রয়েছেন। আর সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। যদিও তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কোনো পদে নেই। পদে না থেকেও নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রেখে তিনি সক্রিয় রাজনীতি করে যাচ্ছেন এবং দলের নেতাকর্মীদের মাঝে তার জনপ্রিয়তাও আগের চেয়েও বেড়েছে বলে দাবি তার ঘনিষ্ঠসুত্রের।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে আরো যারা বিএনপির মনোনয়ন চাইতে পারেন তারা হলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর-বন্দর তথা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি থেকে পদত্যাগী নেতা মোহাম্মদ শাহআলম, সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, রূপগঞ্জ তথা নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে কাজী মনিরুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দীপু, আড়াইহাজারে আতাউর রহমান আঙ্গুর, নজরুল ইসলাম আজাদ, মাহমুদুর রহমান সুমন এবং সোনারগাঁ আসনে অধ্যাপক রেজাউল করিম ও আজহারুল ইসলাম মান্নান। এছাড়াও আরও অনেকেই মনোনয়ন চাইতে পারেন। তবে হেভিওয়েট বিবেচনায় এদের দিকেই নজর থাকবে সাধারণ ভোটারদের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশগ্রহন করে তাহলে এই নেতারাই চাইবেন বিএনপির মনোনয়ন এবং এদের মাঝ থেকেই করবেন নির্বাচনও। কিন্তু এই মুহুর্তে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভেতরে দেখা যাচ্ছে তীব্র দ্বন্দ্ব কোন্দল। বিশেষ করে এই দলে এখন চলছে পদ দখলের রাজনীতি। দলে নেতৃত্ব সংকটও প্রবল।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষ মনে করে, বিএনপি কখনোই নেতা নির্ভর কোনো দল ছিলো না। বিএনপি হলো সমর্থক ও কর্মী নির্ভর একটি রাজনৈতিক দল। সারা দেশের সাধারন মানুষই এই দলের প্রান। মানুষ সুযোগ পেলেই বিএনপিকে ভোট দেয়। বিএনপি কাকে মনোনয়ন দিলো সেটা তারা দেখেন না। তাই বিএনপি সব সময়ই সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে সাড়া দেশে বিবেচিত হয়, নারায়ণগঞ্জেও তাই।

তবে দেশে যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জের আসনগুলিতে আবারও বিএনপির প্রার্থীরাই জয় লাভ করবে বলে দাবি বিএনপির নেতাকর্মীদের। সেই ক্ষেত্রে এই দল কাকে মনোনয়ন দিলো সেটা তেমন বিবেচ্য বিষয় হবে না বলেই মনে করেন নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ মানুষ।