ময়মনসিংহে বাধা উপেক্ষা করে নতুন মাত্রা যোগ করলো নেতাকর্মীরা ...

পরপর দুই সফল সমাবেশে আরো উজ্জীবিত না.গঞ্জ বিএনপি

134
পরপর দুই সফল সমাবেশে আরো উজ্জীবিত না.গঞ্জ বিএনপি

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

কোনো কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না বিএনপিকে। চট্টগ্রামের পর এবার ময়মনসিংহে সফল সমাবেশ করলো বিএনপি। ময়মনসিংহের সমাবেশে সরকার নানা ভাবে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীদের। দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলো তাদের অনলাইন সংস্করণে গতকাল দুপুরের পর থেকেই শিরোনাম করেছে সকল বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল।

এসব মিডিয়ার খবর অনুযায়ী সমাবেশের আগের দিন থেকেই ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলার সাথে বাস ট্রাক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়, যাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে না পারেন। কিন্তু সরকারের কোনো কৌশলই কাজে লাগেনি। পায়ে হেটে, বিভিন্ন ছোটো ছোটো যানবাহন, নৌকা এবং ট্রলারে চড়ে সমাবেশে যোগ দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, পথে পথে বাধা দেয়া সত্ত্বেও দুপরের মধ্যেই সমাবেশ স্থল এবং আশপাশের এলাকা লোকে লোকারন্য হয়ে যায়। জ¦ালানী তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে বিএনপির পাঁচজন নেতাকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদ, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নি:স্বর্ত মুক্তির দাবিতে এই মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। ফলে চট্টগ্রামের বিশাল সমাবেশের পর ময়মনসিংহের সমাবেশে বাধা দেয় সরকার। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। এতো বাধা দেয়ার পরেও এই সমাবেশে লাখো জনতার ঢল নামে বলে প্রচারিত হয় মিডিয়াগুলোতে।

এদিকে, পরপর দুটি সমাবেশ সফল হওয়ার পর আরো উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা জানান, গতকাল দুপুর থেকেই তাদের নজর ছিলো এই সমাবেশের দিকে। বিভিন্ন অনলাইন সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল এবং ইউটিউব চ্যানেলগুলি অনলাইনে সমাবেশের খবর প্রচার করতে থাকে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এসব খবর সংগ্রহ করে ফেসবুকে প্রচার করতে থাকেন।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রথমত সরকার সমাবেশের অনুমতি নিয়ে নানা টালবাহানা করে। পরে সমাবেশের আগের রাত থেকে সকল প্রকারের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এছাড়া পথে পথে আওয়ামী লীগের লোকজন বাধার সৃষ্টি করে। কিন্তু এতো কিছুর পরও পায়ে হেটে এবং নৌকা ও ট্রলার যোগে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে এসে যোগ দেন। এতেই প্রমাণ হয় জনগন এবার যেকোনো মূল্যে এই সরকারের পতন চায়। মানুষ এখন আর ভয় পাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, সরকার বিগত পনেরো বছর ধরে জোর করে জনগনের ভোটের অধিকার হরন করে দেশ চালাচ্ছে। তার উপর তারা লুটপাট করে এই দেশকে একেবারে ফোকলা করে ছেড়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে গোটা দেশের মানুষ এখন একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছে। দেশের খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ এখন রীতিমতো না খেয়ে থাকছে। অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। তাই এই সরকারকে বিদায় জানাতে মাঠে নেমে আসছে তারা। এখন আর সরকারের কোনো বাধাই কাজ হচ্ছে না। মানুষ মনে করে এভাবে না খেয়ে মরার চেয়ে প্রয়োজনে তারা গুলি খেয়ে মরবে। তবুও এ দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করে ছাড়বে ইনশাআল্লাহ। পর পর দুই বিভাগের দুটি সমাবেশের মাধ্যমে এটারই প্রমাণ পেয়েছি আমরা।