বাংলাদেশীদের জন্য ঠিকানা গড়ছেন জাপান প্রবাসী শাহাদাত...

না.গঞ্জে সাফল্যের পথে ‘মাইনিচি জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ স্কুল’

527

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জাপানে ঠিকানা গড়তে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বক্তাবলীর জাপান প্রবাসী শাহাদাত স্বপন। তিনি এখন জাপানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। নারায়ণগঞ্জের সমবায় মার্কেটে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি জাপানি ভাষা শিক্ষার স্কুল। যার নাম ‘মাইনিচি জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ স্কুল’।

গত ১০ আগষ্ট বুধবার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্কাইপি টেস্ট দিয়ে টিকেছেন পাঁচজন ছাত্র। তারা আগামী এপ্রিল সেশনে জাপান গমন করবেন বলে জানা গেছে। গতকাল সকাল ১১ টায় সমবায় মার্কেটের এই মাইনিচি জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, পড়াশুনার জন্য জাপান যেতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীরা সেখানে ভাষা শিখছেন। তারা জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় অথবা সেখানকার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে যেতে চান। মাইনিচি জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ স্কুল তাদেরকে ভাষা শিক্ষা দানের পাশাপাশি কাগজপত্রও প্রসেসিং করে থাকে। এরই মাঝে শাহাদাত স্বপনের প্রচেষ্ঠায় অনেকেই জাপানে গিয়ে পড়াশুনা করছেন।

নারায়ণগঞ্চ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবন জানিয়েছেন, তার পুত্র আবু বকর সিদ্দিক হামীম এখন উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য জাপানে অবস্থান করছেন। আর তাকে জাপানে নিতে সমস্ত কাগজপত্র প্রসেসিং করেছেন এই শাহাদাত স্বপন। মূলত স্বপনের প্রচেষ্টায়ই হামীমের জাপান যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার শাহাদাত স্বপন তিন সপ্তাহের ছুটিতে দেশে এসেছেন। তিনি এখন তার বক্তাবলীর বাড়িতে অবস্থান করছেন। তার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে এলে এই প্রতিনিধির সাথে তার কথা হয়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরো অনেক আগে থেকেই উন্নত বিশ্বের অন্যতম একটি রাস্ট্র হলো জাপান। জাপানে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং জীবনযাপন কতোটা উন্নত সেটা এই দেশের সাধারন মানুষও এখন জানেন। বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য জাপান সরকার একটি বিশেষ উদার নীতি গ্রহন করেছে। যার ফলে প্রতি বছর এ দেশ থেকে বহু ছাত্রছাত্রী জাপানে যাচ্ছে পড়াশুনা করার জন্য। বর্তমানে জাপানে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিশ হাজারের বেশি। দিনে দিনে এই সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি আরো বলেন, জাপানে এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার মাইনাস। তাই বিদেশী শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়াশুনা শেষ করে যদি পার্মান্যান্ট হতে চান তাহলে সহজেই সেটা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া কোনো ছাত্র বা ছাত্রী জাপানে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পার্ট টাইম জব করার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে তারা একবার জাপানে ঢুকতে পারলে পড়াশুনা করার জন্য দেশ থেকে আর কোনো টাকা-পয়সা নিতে হচ্ছে না। পার্ট টাইম জব করেই সকলে থাকা খাওয়া এবং টিউশন ফি দিতে পারছেন।

তাই আমি মনে করি, বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের উচিৎ জাপান সরকারের দেয়া এই সুযোগ গ্রহন করা। তাই আমি চেষ্টা করছি নারায়ণগঞ্জের ছেলেমেয়েদের জন্য কিছু করতে। আমি আহবান জানাবো নারায়ণগঞ্জের ছাত্রছাত্রীরা যেনো এই সুযোগ গ্রহন করেন। তাদের জন্য আমি কিছু করতে পারলে দেশের জন্য কিছু করা হবে বলে আমি মনে করি।