যে যাই বলুক একটি অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের সম্ভাবনা বাড়ছে...

না.গঞ্জের দুটি আসনে তারেক রহমানের পছন্দের প্রার্থী গিয়াস ও সাখাওয়াৎ

173

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

দেশের রাজনীতি নিয়ে যে যাই মনে করুক না কেনো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির অংশগ্রনেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল মনে করেন আন্তর্জাতিক মহল এবার যেভাবে সকলের অংশগ্রহনে একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন দেখতে চাইছে সেটা না করা যে কতেটা কঠিন হবে তা সংশ্লিষ্ট অনেকেই টের পাচ্ছেন।

বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনে চীন আর ভারতের সমর্থন ছিলো এবং যুক্তরাস্ট্র সহ পশ্চিমাদের কোনো মাথা ব্যাথা ছিলো না। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। এরই মাঝে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র র‌্যাবের উপর স্যাংশান দিয়েছে এবং ভিসা নীতি প্রয়োগ করে রেখেছে। আর কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সহ ইউরোপিয় দেশগুলি যুক্তরাস্ট্রের এই নীতির সাথে তাল মিলিয়ে এগুচ্ছে। যুক্তরাজ্যও বার বার একটি অবাধ সুষ্টু এবং অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের কথা বলছে। এরই মাঝে পশ্চিমাদের প্রিয় ব্যাক্তি ড. ইউনুসের বিচার শুরু করেছে সরকার।

ফলে একশোর বেশি নোবেল লরিয়েট সহ প্রায় দুইশ বিশ্ব নেতা সরকারের এই বিচার করাকে মানছে না, তারা অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। এতে সরকারের উপর বাড়তি চাঁপ এসেছে। এক কথায় সারা বিশ্ব এখন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের দিকে নজর রাখছে। পার্শ্ববর্তী ভারতও এবার বেশ সতর্ক রয়েছে। তারা বর্তমান সরকারকে আর সরাসরি সমর্থন করছে না। তাই যে যাই মনে করুক না কেনো এতো সহজে এবার সরকার একটি সাজানো পাতানো নির্বাচন করে পার পেয়ে যাবে এটা অনেকেই বিশ্বাস করে না। তার উপর দেশে এখন যে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে তা থেকে বাঁচতে হলেও একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলেই নারায়ণগঞ্জেন সচেতন মহল মনে করেন। তাই এমতাবস্থায় সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়ে এবার সহজে একটি নির্বাচন করে ফেলবে এটা এখন অনেকেই বিশ্বা সকরেন না। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির অংশগ্রহনেই হবে বলে তারা মনে করেন এবং সেই নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্টু। আর তাহলে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ দুটি আসনে কারা পাবেন বিএনপির মনোনয়ন।

এ ব্যাপারে জানা গেছে এই দুটি আসনে নির্বাচন করার জন্য এবার জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খানকে চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানেরও পছন্দের প্রার্থীও এরা দুইজন। যদিও আসন দুটিতে আরো কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং দল গঠনে তাদের যে অবধান এটা কেউ অস্বীকার করছে না। দুইজনেই বেশ পরিশ্রমী এবং যোগ্যতা সম্পন্ন হিসাবে পরিচিত।

তাই আসন্ন নির্বাচন অংশগ্রহনমূলক হলে এই দুই প্রার্থীও বিজয় লাভ করার সম্ভাবনা নিশ্চিৎ বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ মানুুষ। তবে নির্বাচনের আগে সরকারের সাথে যদি বিএনপির সমঝোতা না হয় তাহলে একটি তুমুল আন্দোলনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই এই দুই নেতা একই সাথে নির্বাচন এবং আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। নারায়ণগঞ্জের সর্ব স্থরের জনসাধারন একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে। তাই জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খানও আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তারা দুইজনেই দলের উচ্চ পর্যায় থেকে গ্রীন সিগন্যালও পেয়েছেন বলে জানা গেছে।