না’গঞ্জে চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা: নিরাপদ সড়ক গড়ার প্রত্যয়:প্রশাসকের

122

 

সড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, যানজট নিরসন এবং সার্বিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে পেশাদার গাড়ি চালকদের জন্য এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে জেলার খানপুরে অবস্থিত বিআরটিএ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই আয়োজন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) যৌথভাবে এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ-র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. মাহবুবুর রহমান এবং মোটরযান পরিদর্শক মো. সাইফুল কবীর সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “‘গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় আমরা পরিবহন ব্যবস্থাকে একটি সবুজ ছাতার নিচে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছি। যানজট ও দুর্ঘটনা রোধ করে একটি নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

 

তিনি চালকদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “প্রশাসনের চালকদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা না থাকায় অনেক সময় তাদের চাপের মধ্যে গাড়ি চালাতে হয়। তাদের চাপমুক্ত রাখতে আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।” তিনি পেশাদার চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “গাড়ি আপনাদের জীবিকার মূল উৎস। নিজের শরীরের যেমন যত্ন নেন, তেমনি গাড়িরও যত্ন নিতে হবে এবং গাড়ির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।”

 

জেলা প্রশাসক আরও জানান, জেলার সকল ড্রাইভার ও হেলপারকে পর্যায়ক্রমে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, “আমরা চালকদের জন্য একটি ডাটাবেজ তৈরি করছি, যেখানে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ও শারীরিক অবস্থার তথ্য থাকবে। এই ডাটাবেজের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে তাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে”

 

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে চালকদের আত্মবিশ্বাস ও পরিচয় বহন করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন রঙের পোশাক সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মোট ৩০ জন পেশাদার চালক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা চলার পাশাপাশি চালকদের তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ তৈরি এবং নতুন পোশাক বিতরণের কার্যক্রমও অব্যাহত ছিল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জেলার পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বাড়বে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।