বক্তাবলীর সন্তান ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সেক্রেটারী রফিকুল ইসলাম জীবন...

ডিক্রীরচর ফেরী চলাচলে পাল্টে গেলো আলীরটেক-বক্তাবলীর মানুষের জীবনধারা

101
ডিক্রীরচর ফেরী চলাচলে পাল্টে গেলো আলীরটেক-বক্তাবলীর মানুষের জীবনধারা

# সেলিম ওসমান ও জাকির চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

অবশেষে সব ধরনের যানবাহনে চড়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের সাথে আলীরটেক ইউনিয়নে সরাসরি যাতায়তের পথ সুগম হলো। গত শনিবার ডিক্রীরচর গুদারাঘাট দিয়ে ফেরী চলাচল উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান। ওই দিন বেলা ১২টায় এই ফেরী চলাচল উদ্বোধন করেন তিনি। তখন এলাকার হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আলীরটেকের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে অবশেষে খুব সহজেই এখন প্রাইভেট কার সহ যানবাহনে চড়ে আলীরটেকে যেতে পারবেন সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। সহজেই আলীরটেকের মানুষও নারায়ণগঞ্জ শহরে আসতে পারবেন নানা যানবাহনে চড়ে। তাই এই দিনটি আলীরটেকবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন হিসাবে আখ্যায়িত হবে। ডিক্রীরচর খেয়া ঘাট দিয়ে এই ফেরী চলাচল শুরু হওয়ার কারণে আলীরটেক তো বটেই পার্শ্ববর্তী বক্তাবলী ইউনিয়নবাসীর জীবনযাপনও একেবারে পাল্টে যাবে। আমূল পরিবর্তন আসবে তাদের জীবন ধারায়ও।

এ বিষয়ে জানতে বক্তাবলী ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের সন্তান নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই ইউনিয়নের আলীরটেক গ্রামের পাশের গ্রামই আমার নিজ গ্রাম রাধানগর। আমি মনে করি এই ফেরী চলাচল শুরু হওয়ার কারনে আলীরটেক বাসীসহ উপকৃত হবেন বক্তাবলীর মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিন অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে গঙ্গানগর, রামনগর, কানাইনগর, লক্ষীনগর, প্রসন্ননগর এবং রাধানগরের মানুষ খুব সহজেই এই ফেরী চলাচলের মাধ্য নারায়ণগঞ্জ শহরে যাতায়ত করতে পারবে। এতে তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা এবং সার্বিক জীবনযাপন পদ্ধতিতে ব্যাপক ইতিবাঁক পরিবর্তন আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তাই এখানে ফেরী চালু হওয়ায় আমি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান এবং আলীরটেকের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং তাদরে সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

প্রেসক্লাব সেক্রেটারী রফিকুল ইসলাম জীবন আরো বলেন, এখান দিয়ে এই ফেরী চলাচলটি ছিলো বৃহত্তর বক্তাবলী পরগনার মানুষের জন্য বহু আকাংখিত একটি বিষয়। এ বিষয়ে জাকির চেয়ারম্যানকে নিয়ে দুটি কথা না বললেই নয়। ওই এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে তিনি খুবই সিরিয়াস একজন মানুষ। তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তার সবচেয়ে বড় গুন হলো তিনি তার অতীত ভুলে যাননি। তার সঙ্গে আমার দুটি সম্পর্ক। তার একটি হলো তিনি সম্পর্কে আমার চাচা হন। দ্বিতীয় সম্পর্কটি হলো তিনি অদম্য মানুষিকতা নিয়ে যখন একজন ক্ষুধে ব্যবসায়ী ছিলেন তখন তিনি যুবক আর আমি ছিলাম কিশোর। তার ছোটো ভাই আনোয়ার হোসেন বয়সে আমার কিছু দিনের বড় হলেও তিনি ছিলেন আমার বন্ধুর মতো। আমরা এক সাথে বড় হয়েছি এবং খেলাধুলা করেছি। আমরা কাশীপুর ফরাজী কান্দা গ্রামে একই সাথে বসবাস করতাম। বেড়ে উঠেছি একই সাথে। নিজের চোখে দেখেছি কিভাবে তারা একেবারে প্রান্তিক পর্যায় থেকে উঠে এসে নারায়ণগঞ্জের সমাজে একটি বিশেষ অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। সাহসী মনোভাব আর আন্তরিক প্রচেষ্টার কারনে এই শহরের একটি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পরিবার হিসাবে তারা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ফলে সেই যুবক বয়সেই জাকির চেয়ারম্যানের মাঝে দৃঢ় প্রত্যয় ছিলো মানুষের জন্য কিছু করার। তারপরের ইতিহাস সকলের জানা।

তিনি আরও বলেন, এর আগে তিনি যখন চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তখনই তিনি গোটা আলীরটেকের ব্যাপক উন্নয়ন করে রেখে গেছেন। তবে মাঝখানে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। বিগত নির্বাচনের আগের নির্বাচনে তাকে নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছিলো। তবে অল্প দিনেই সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান এমপি আসল বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং জাকির চেয়ারম্যানকে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সমর্থন করেন। ফলে এবার চেয়ারম্যান হয়েই এলাকার উন্নয়নে ঝাপিয়ে পরেন চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। তিনি নিজে আমাকে বার বার বলেছেন যদি সুযোগ পান তাহলে তিনি এলাকার চেহারা পাল্টে দেবেন। আর এখন সুযোগ পেয়ে একজন সৎ চেয়ারম্যান হয়ে পরিচিত জাকির হোসেন একটি সুপরিকল্পিত উন্নয়নের ধারা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। আলিরটেকের সন্তান হিসেবে আমি মনে করি, এই ফেরীটি চালু হওয়ার কারনে গোটা আলীরটেক ইউনিয়নটি এলাকাবাসীর বসবাসের জন্য একটি আদর্শ ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে উঠবে। সৎ পরিশ্রমী এবং ডাইনামিক নেতৃত্বের অধীকারী জাকির চেয়ারম্যানের আরো উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। সেই সাথে আলীরটেক ও বক্তাবলীবাসীর একজন হিসাবে নিজেকেও ধন্য মনে করছি।