নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
বাংলাদেশের রাজনীতি দুটি বড় রাজনৈতিক দল হলো বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। আর এই দুটি দলের বাহিরে ভোট ব্যাংক আছে এমন আরো তিনটি রাজনৈতিক দল হলো জামায়াত, জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী আন্দোলন। ফলে এ দেশে রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে পরিচিত মোট পাঁচটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। আর এই পাঁচটি দলের মাঝে চারটি দলই বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন চায় না। তারা বিশ্বাস করে না যে এই সরকারের অধীনে কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এরই মাঝে সরকারের বাহিরে বড় চার দলের মধ্যে তিনটি দলই এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের মাঠে রয়েছে। এক মাত্র জাতীয় পার্টি এখনো আন্দোলনে নামেননি।
তবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএ কাদেরর বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচনা করে চলেছেন। তিনিও বার বার বলছেন বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এ ছাড়া তিনি জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার জন্যও আওয়ামী লীগকে দায়ী করছেন। জিএম কাদের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল এবং জাতীয় সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিয়ে বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচনা করছেন।
অপরদিকে বিএনপি, জামায়াত এবং ইসলামী আন্দোলন পৃথক ভাবে সরকার বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তিনটি দলই বেশ পরিস্কার ভাবে বলছে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে যাবে না তারা। তাই অনেকে মনে করেন এসব দল যদি ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামে এবং আগামী নির্বাচন বয়কটের ডাক দেয় তাহলে সরকারের পক্ষে টিকে থাকা মোটেও সহজ হবে না। এছাড়া অনেকে মনে করেন, শেষ পর্যন্ত সরকার যদি এই চারটি দলের দাবি না মানে তাহলে এসব দল যেকোনো সময় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিতে পারে এবং সেই ক্ষেত্রে এক সাথে মাঠে নামতে পারে। আর সেটা করা হলে এই সরকারের টিকে থাকা মোটেও সহজ হবে না। এরই মাঝে জিএম কাদেরও বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ আন্দোলনের সম্ভাবনার কথা বলেছেন এবং তিনি বলেছেন তারা আরো কিছু দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করবেন। তারপরে চূড়ান্ত স্বিদ্ধান্ত নেবেন।
তাই যতো দিন যাচ্ছে ততোই চারটি বড় দলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের সম্ভাবনাও বাড়ছে বলেই মনে করেন দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। কারন জনগন যেটা চায় সেটা না করলে ওই রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারে না। যেমন জনগনের বিপরিতে গিয়ে জাতীয় পার্টি এরই মাঝে অনেকটা ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই জিএম কাদের চেষ্টা করছেন জাতীয় পার্টির সেই হারানো ইমেজ পূনরুদ্ধার করতে। তাই আগমী দিনে চারটি বড় দলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে বলেও মনে করেন এই দলগুলির নারায়ণগঞ্জের সমর্থকরা। দলগুলির সমর্থকদের সাথে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।