চাষাঢ়ায় ইজিবাইক নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজী

262
চাষাঢ়ায় ইজিবাইক নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজী

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়িতে এখন ইজিবাইক নিয়ে চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজী। দালালদের মাধ্যমে ইজিবাইক ধরে এনে এক হাজার, পনের’শ এবং দুই হাজার টাকা করে আদায় করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কতিপয় অসাধু ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।

ফাঁড়িটিতে এখন ইজিবাইক নিয়ন্ত্রনের নামে চলছে বানিজ্য আর অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার মহোৎসব। আর এভাবে প্রতি দিন দুই তিন’শ ইজিবাইক, অটো রিকশা ধরে এনে সারা দিন আটকে রেখে লাখ লাখ টাকা পকেটে পুরছে অসাধু পুলিশ সদস্য ও তাদের কথিত দালালরা।

এ বিষয়ে গতকাল নারায়ণগঞ্জের একজন সাংবাদিক নেতা ফেসবুকে লিখেছেন, নারায়ণগঞ্জ শহরে অটো রিকশার নতুন বানিজ্য চলছে। সকাল বেলা ছয় দালালকে সাথে নিয়ে বের হন বড় সাহেব। তারপর একটি করে অটো ধরে একজন করে দালাল দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়িতে। সারাদিন দেনদরবারের পর ছাড়া হয় অটো। মটর রিকশা ১০০০, ছোটো অটো ১৫০০, বড় অটো ২০০০। দৈনিক দুই থেকে তিন লাখ টাকার বানিজ্য। অটো কোনোদিন বন্ধ হবে না এদের জন্যই। যানজটে পঁচে গলে মরবো আমরা শহরের বাসিন্দারা আর নিজেদের আখেড় গুছাবে প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সাংবাদিক নেতার এই পোষ্টে আরো অনেকেই মন্তব্য করে সমর্থন জানান। এখানে মহসিন আলম নামে একজন মন্তব্য করেছেন, কিছু করার নেই ভাইজান, প্রতিটি সেক্টরে নৈরাজ্য আর নৈরাজ্য। ভাবখানা এরকম যেনো এসব সহ্য করে পারলে এই দেশে থাকুন নইলে ভিন দেশে চলে যান।

তানিয়া আহমেদ লিখেছেন, অসাধারন একটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, ওরা শহরটা শেষ করে দিলো।

নাজমুল হুদা সজল লিখেছেন, সব কিছু এখন শিকলে বন্দী।

শওকত আলী রানা লিখেছেন, আমার মনে হয় আমরা আমাদের জনপ্রতিনিধি, নেতা, এমপি বা মেয়র নির্বাচিত করতে ভুল করেছি। যার খেসারত আজ নারায়ণগঞ্জবাসী হারে হারে টের পাচ্ছে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষ মনে করেন, অটোরিক্সা-ইজিবাইকের কারণে সৃষ্ট তীব্র যানজটে বেকায়দায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসী। পুলিশ প্রশাসনকে টাকা দেয়ার কারণে এসব অবৈধ যানবাহন কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা মানছে না। বিনা কাগজে বা বিনা লাইসেন্সে প্রতিদিন হাজার হাজার অটো নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে চলাচল করছে। এতে সারা নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জজুড়ে দিনব্যাপী তীব্র যানজট বিরাজ করে।

অপরদিকে, এসব অটো নিয়ন্ত্রনে নিতে স্থানীয় সরকার তথা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। বরং এই বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বেপরোয়া চাঁদাবাজীতে মেতে উঠেছে। এতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বরং নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বহু অটোরিক্সা-ইজিবাই চালক, কেননা এই চাঁদাবাজ চক্র নিজেরাও চায় না এসব অটো রিকশা কোনো রকম শৃঙ্খলায় ফিরে আসুক।