ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত পকেট কমিটি গঠনের পায়তারা...

গিয়াস উদ্দিনকে দূরে রাখাই মামুনের প্রধান চ্যালেঞ্জ

132
গিয়াসকে দুরে রাখাই মামুন মাহমুদের মূল লক্ষ্য

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

বিএনপির আশি ভাগ নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সারা জেলায় সাজানো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি। আর এই কমিটির সভাপতি হতে চাইছেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আর সেক্রেটারী হতে চাইছেন জাহিদ হাসান রোজেল, রূপগঞ্জের নাসির উদ্দিন এমনটাই মনে করে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

আর একেবারে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও থানা পর্যন্ত যাদেরকে কাউন্সিলর করা হচ্ছে তারা সবাই মামুন ও রোজেলদের পকেটের লোক। এমন অনেককে বিএনপির পদ দেয়া হচ্ছে যারা নাকি কোনো দিন বিএনপির রাজনীতি করেন নাই। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং থানা কমিটি গঠন করার বেলায় দলের গঠনতন্ত্রও মানা হচ্ছে না।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, নিয়ম হলো প্রথমে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর বানাতে হবে। পরে এই কাউন্সিলররা ওয়ার্ড সম্মেলন করে ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করবেন। পরে ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা ইউনিয়ন সম্মেলন করবেন এবং ধারাবাহিক ভাবে ইউনিয়ন কমিটি গঠন হওয়ার পর গঠন করা হবে থানা কমিটি। একই ভাবে থানা কমিটি গঠন হওয়ার পর জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

কিন্তু মামুন মাহমুদরা সুযোগ পেয়ে বিএনপির গঠনতন্ত্রকে কোনো রকম তোয়াক্কা না করে ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত কমিটি সাজাতে উঠেপরে লেগেছেন। আর এসব করতে গিয়ে সব কিছু গোপন রাখা হচ্ছে। কোনো কমিটিই প্রকাশ হতে দেয়া হচ্ছে না। আর এসব কমিটি করার সময় নিজেদের লোক দিয়ে ফেসবুকে কিছু প্রচার চালানো হচ্ছে। অতি গোপনীয়তার মাধ্যমে ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত কমিটি সাজানো হচ্ছে।

জেলা কমিটির সভাপতি হচ্ছেন মামুন মাহমুদ আর সাধারন সম্পাদক হতে চাইছেন জাহিদ হাসান রোজেল এবং নাসির উদ্দিন। তাই সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হবেন বলে যে প্রচার রয়েছে সেটা সঠিক নয় বলে জানা গেছে।

কারন এমন গোপনীয়তার সঙ্গে এবং অসংবিধানিক ভাবে এসব কমিটি গঠন করা হচ্ছে যে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন জানতেই পারছেন না কোথায় কি হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে মোটা অংকের টাকা খেয়ে এদেরকে সহযোগীতা করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ। তাই গিয়াস উদ্দিন জেলা সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে যে প্রচার চলছে সেটা সঠিক নয়।

কেননা মামুন মাহমুদরা যেভাবে ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত পকেট কমিটি গঠন করছেন তাতে সম্মেলন হলে গিয়াস উদ্দিন সভাপতি পদে জয়ী হতে পারবেন না। আর এটা ভালো করেই জানেন এই সাবেক এমপি। তাই তিনি কেবল অপমান হওয়ার জন্য জেলা সম্মেলন করবেন না বলেই জানা গেছে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপির সাবেক এমপিদের মাঝে এক মাত্র গিয়াস উদ্দিনই এখনো সক্রিয় রয়েছেন। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখছেন। বিশেষ করে যারা তার সাথে যোগাযোগ রাখছেন তাদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তাই মামুন তাকে ভয় পাচ্ছেন। মামুন যেকোনো মূল্যে গিয়াস উদ্দিনকে দলের বাহিরে রাখার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে দল থেকে বহিস্কার করার পর একটি বড় সুযোগ পান মামুন মাহমুদ আর তার দোষররা। বিপরীতে কোনঠাসা হয়ে পরেন এডভোকেট তৈমুর আলমের অনুসারীরা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মামুন দ্রুত নিজের পকেট কমিটি করে ফেলেন। আর এভাবেই এই জেলায় বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে প্রায় শেষ করে ফেলা হচ্ছে বলেই এই দলের বঞ্চিত নেতাকর্মীরা মনে করেন।