নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি নিয়ে নয়া ছক-----...

গিয়াস যাবেন কারাগারে, মামুন হবেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি!

173

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে এবার নতুন খেলা শুরু হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতার এবং তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী এমপির ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তার আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে মামুন মাহমুদকে সিনিয়র সহ-সভাপতি করার জন্য বেশ তোরজোর চলছে বলে জানা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আভ্যন্তরিন সূত্রগুলি এসব তথ্য জানিয়ে বলেছে, তারা মনে করেন সরকার যতো চেষ্ঠাই করুকনা কেনো আগামী জিতীয় সংসদ নির্বাচন আর একতরফা করতে পারবে না। বিএনপির অংশগ্রহনেই হবে আগামী নির্বাচন। খুব শিগগিরই সারা দেশে তুঙ্গে উঠবে তত্বাবদায় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। তাই সরকার বাধ্য হবে সব দলের অংশগ্রহনে একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন করতে। এটা খুব ভালো করেই জানেন ওই এমপি। তাহলে এবারের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী হবেন জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন। আর এই আসনে গিয়াস উদ্দিনের যে জনপ্রিয়তা তাতে তার বিজয় ঠেকনো মোটেও সহজ হবে না। তাই নয়া ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন ওই এমপি। তিনি এখন চাইছেন গিয়াস উদ্দিন এবং তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটকে রাখতে। তাই এই ক্ষেত্রে ওই এমপির অনুগত হিসাবে পরিচিত অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে দলের সিনিয়র সহসভাপতি করে পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করার জন্য। কার গিয়াস উদ্দিন বিএনপির প্রার্থী না হয়ে অন্য কেউ প্রার্থী হলে সাংগঠনিক ভাবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে দাড়াতেই পারবে না বিএনপি। অন্তত এখন পর্যন্ত এখানে গিয়াস উদ্দিনের কোনো বিকল্প প্রার্থী তৈরী হয়নি বলেই এই দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করেন।

এদিকে মামুন মাহমুদ যে ওই প্রভাবশালী এমপির লোক এটা জানেন নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপির প্রায় সকলে। আর এ কারনেই মামুন পর পর দ্ইুবার জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেও এই জেলায় বিএনপিকে পূনর্গঠন করতে পারেননি। এছাড়া এমনিতেও মামুনের কোনো কর্মী বাহিনী নেই। ফতুল্লায় শাহআলমপন্থী কিছু নেতাকর্মী এখনো মামুনের পেছনে রয়েছে। তারাও আওয়ামী লীগের ওই এমপির অনুগত। ফলে এই জেলার রাজনীতিতে মামুন কোনো ফ্যাক্টরও নন। অতীতেও তিনি কোনো ফ্যাক্টর ছিলেন না। তিনি বরারবরই ওই এমপির গুটি হিসাবে ব্যাবহৃত হয়েছেন বলে জেলা বিএনপির প্রায় সব নেতা মনে করেন। তাই এই মুহুর্তে যদি গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতার করা যায় তাহলে এই জেলায় একেবারে দূর্বল হয়ে পড়বে বিএনপি। বিশেষ করে আবারও প্রবল নেতৃত্ব সংকটে পতিত হবে দলটি। এতে সারা জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ হবে আন্দোলন। তাই তাকে এখন গ্রেফতার করানোর জন্য বেশ মোটা অংকের টাকা খরচ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ। মূলত এ কারনেই গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করার চেষ্ঠা চলছে বলে বিএনপি নেতারা জানান।

প্রসঙ্গত নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেন গিয়াস উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দায়িত্ব পাওয়ার পর গোটা জেলায় ঘুরে দাড়িয়েছে বিএনপি। বহু বছর পর সারা জেলায় ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং থানা কমিটিগুলি গঠন করেছেন তিনি। ফলে সাংগঠনিক ভাবে বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বিএনপি।