কিশোর গ্যাং দমনে তালিকা করে অভিযান চায় নারায়ণগঞ্জবাসী

136
কিশোর গ্যাং দমনে তালিকা করে অভিযান চায় নারায়ণগঞ্জবাসী

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

সমগ্র নারায়ণগঞ্জে তালিকা করে কিশোর গ্যাং দমন করার দাবি উঠেছে। কেননা এক শ্রেনীর মাদকাসক্ত কিশোর সন্ত্রাসী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং ওরা খুনের নেশায় মেতে উঠেছে। তাই পুলিশ প্রশাসনকে প্রত্যেকটি পাড়া মহল্লায় এসব কিশোর গ্যাং সদস্যদের তালিকা করে অভিযান চালানো জরুরী বলে মনে করেন সর্বস্তরের সাধারন মানুষ।

পুলিশ বিভিন্ন ওয়ার্ডে গোপনে গিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, ওয়ার্ড মেম্বার এবং কাউন্সিলরদের সহায়তায় এই তালিকা করতে পারে। যদিও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার এবং সিটি কাউন্সিলররা অনেকে নিজেরাই সন্ত্রাসীদের লালন পালন করে। তারপরেও পাড়া মহল্লায় খোঁজ নিলে পুলিশ অবশ্যই এই তালিকা প্রনয়নে সফল হবে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো এবং কিশোর গ্যাং দমনে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে ফতুল্লা মডেল থানা এবং নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। তারা গত কয়েক দিন ধরে পাড়ামহল্লায় টহল বাড়িয়েছে। তবে পুলিশের এই অভিযানে কিশোর সন্ত্রাসীরা কিছুটা দমন হলেও একেবারে থেমে নেই। একদিকে পুলিশ দল আসছে, আবার তারা চলে গেলেই নতুন করে সংঘবদ্ধ হচ্ছে সন্ত্রাসীরা। তাই নারায়ণগঞ্জের পাড়া মহল্লায় পুলিশের এই মহরায় তেমন কোনো কাজ হবে বলে জনগন মনে করেন না। বরং পাড়া মহল্লার সন্ত্রাসীদের তালিকা করে গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা শুরু করলে পাল্টে যাবে চিত্র। অন্যথায় সন্ত্রাসীরা আগের মতোই বেপেরোয়া থেকে যাবে এবং চালিয়ে যাবে সন্ত্রাস ও মাদক ব্যাবসা।

তাই নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করেন কিশোর গ্যাং আর বখাটেদের ধরতে হলে পুলিশকে সিভিল ড্রেসে একেকটি মহল্লায় একেক দিন ঢুকতে হবে এবং গ্রেফতার করতে হবে। প্রয়োজন পুলিশের ব্যাপক কঠোরতা। পাশাপাশি ব্যাপক মহড়া অব্যাহত রাখতে হবে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে পাড়া মহল্লার সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। বিশেষ করে কিশোর ও যুবক বয়সী সন্ত্রাসীরা সারা নারায়ণগঞ্জে শুরু করে দিয়েছে বেপরোয়া তান্ডব। যার ফলে গত সাত দিনে নারায়ণগঞ্জ সদর এবং ফতুল্লা থানায় অন্তত তিনটি আলোচিত হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এসব হত্যাকান্ড হলো নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দেওভোগের সুব্রত মন্ডল জয় হত্যাকান্ড, একই থানার আলীরটেকের অটো রিকশা চালক সিয়াম হত্যাকান্ড এবং ফতুল্লা থানার ইসদাইরের দ্রুব দাস হত্যাকান্ড। প্রত্যেকটি হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এলাকার উঠতি বয়সী সন্ত্রাসীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যারা এসব হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারা সকলেই মাদকাসক্ত অথবা মাদক ব্যবসার সাথে জরিত। ফলে দেখা যায় গোটা নারায়ণগঞ্জ জুড়ে মাদকের ছড়াছড়ির কারনেই ঘটে চলেছে একের পর এক হত্যাকান্ড। ফলে এই জেলার সর্বত্র এখন সাধারন মানুষের মাঝে চরম আতংক ছড়িয়ে পরেছে।